আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের হামলায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫৩ জন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রুয়ান্ডা ও উগান্ডা সীমান্তে দেশটির পূর্বাঞ্চলে নর্থ কিভু প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর এই হামলাকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম হামলা বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। এই হামলায় কঙ্গোর নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত পাঁচ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলের এই হামলায় শান্তিরক্ষী বাহিনীর ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মিশনের কমকর্তাদের ধারণা দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, কঙ্গোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য যারা কাজ করছে তাঁদের ওপর এই কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে।
এটিকে জঘন্যতম হামলা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘শান্তিরক্ষীদের ওপর এ ধরনের হামলা অপ্রত্যাশিত এবং এটা যুদ্ধাপরাধ গঠনের শামিল। আমি কঙ্গো কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।’
কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মামান সিদিকৌ বলেছেন, এই হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে শান্তিরক্ষা মিশন।