‘ওবেসিটি’ এমন একটি সমস্যা, বর্তমানে যার দাপট বেড়ে চলেছে। ওবেসিটির জন্যই দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। ডায়াবিটিস হোক কিংবা হাইপারটেনশন কিংবা হরমোনাল ডিসঅর্ডার, সবকিছুর জন্যই দায়ী ওবেসিটি। কিন্তু, জানেন কি প্রতিদিন যদি বেশ কিছু ভাল অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন এবং তার মধ্যে দিয়েই চলেন, তাহলে ওবেসিটির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
১। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম, ধূমপান বর্জন, সঠিক খাবারদাবার, সময়মত ঘুমাতে পারেন, তাহলে ওবেসিটির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। যেমন প্রতিদিন আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ফল, সবজি, কম ফ্যাটযুক্ত দুধ জাতীয় খাবার, বাদাম এগুলিকে রাখতে হবে আপনার ডায়েটে।
২। ঘুম থেকে ওঠার পর কখনও সকালের খাবার খেতে ভুলবেন না। রাতের খাবারের পর প্রায় ১০ ঘণ্টা যদি খালি পেটে থাকেন, তাহলে ওবেসিটি হানা দিতে পারে। তাই, সকালের ব্রেকফার্স্ট করতে ভুলবেন না কখনও। পাশাপাশি সকালের খাবারে রাখুন দুধ, মধু, বাদাম এবং দানাশস্য জাতীয় খাবার।
৩। দুপুরের খাবারের প্লেটে যেন এক টুকরো ফল থাকে। সেই সঙ্গে সয়া কিংবা ওটমিল জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
৪। শরীর সুস্থ রাখতে কসরত করেন? তাহলে ওয়ার্কআউটের আগে বাদাম, ডিম এবং ফল খেতে পারেন।
৫। ওয়ার্ক আউটের আধ ঘণ্টা পর ফল কিংবা প্রোটিন শেক কিন্তু আপনাকে খেতে হবে।
৬। কাজের চাপের জন্য অনেকেই দুপুরের খাবার খেতে ভুলে যান। বা সময়মত খান না। ফলে রাতের খাবারে থাকে এলাহি আয়োজন। আর এতেই আপনার শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। রাতে সব সময় সুপ, স্যালাড, লিন মিট এবং দই-এর মত খাবার খাওয়া উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৭। পার্টিতে গেলে যে কোনও ধরনের ভাজাভুজি এবং ক্রিমি খাবারের চেয়ে গ্রিল্ড, স্মোকড খাবার খেতে পারেন। এতে শরীরের কম ক্ষতি হয়।
৮। বেশি করে পানি খান। পানি খাওয়া কম হলে, তা কিন্তু শরীরের ক্ষতি করে। তাই শীতের সময়ও বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
৯। বর্তমানে ‘স্ট্রেস’ একটি বড় শব্দ। কিন্তু, স্ট্রেস-এর ফলে আপনার শরীরের কতটা ক্ষতি হচ্ছে জানেন? তাই স্ট্রেসমুক্ত থাকুন সব সময়।
১০। শরীর সুস্থ রাখতে ঘুম কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন যদি প্রয়োজনীয় ঘুম না হয় তাহলে ওবেসিটির মত সমস্যা ক্রমশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
১১। ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। অ্যালকোহলের হাতছানিতেও সাড়া দেবেন না। এগুলি কিন্তু ওবেসিটির সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।