শ্যামনগর ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসাবে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের উন্নয়নের কর্মকান্ড তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আইলার আঘাতে উপকূলীয় জনপথ লন্ডভন্ড হয়ে যায়। জানমালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়Ñ যা আজও পূরণ হয়নি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর উচ্চাভিলাসী কর্মকান্ডের ফলে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের অপূরণীয় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে চলেছেন। উপকূলীয় জনপদের উন্নয়নে ইতিমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পাউবো বেড়িবাঁধ সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলবদ্ধ দূরীকরণে সরকারি খালগুলো উন্মুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, কর্মক্ষেত্র, কৃষি ও সুপেয় পানির উপরে ব্যপক প্রভাব পড়েছে। ২ লক্ষাধিক মানুষ কাজের জন্য এলাকা থেকে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে। আসুন সবাই কাধে কাধ মিলেয়ে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করি।
২৪ ডিসেম্বর হতে ২৬ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী জলবায়ু মেলা রোববার সকাল ১০ টায় উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংশ্লিষ্ট আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। উপাধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে সিএসআরএল এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি এক্ষণে উদ্যোগ না নিলে এ অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসময় সকল সরকারি কর্মকর্তা, বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ জলবায়ু মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ৯.৩০ টায় মেলা উপলক্ষ্যে এক শোভাযাত্রা উপজেলা চত্ত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে। বিকাল ৩ টায় মেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের উপরে চিত্রাংকন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জলবায়ু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী।
শ্যামনগরে জলবায়ু মেলা উদ্বোধন
পূর্ববর্তী পোস্ট