আমির হোসেন খান চৌধুরী: জলবায়ু ন্যায্যতা সপ্তাহের সমাবেশে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের প্রতিষ্ঠিত বুশরা’র কর্মকর্তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় অনুষ্ঠান বয়কট করলেন সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, অতিরিক্ত পিপি ও বিশিষ্ট নাগরিক নেতা এড. ফাহিমুল হক কিসলু এবং অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন। বুধবার সকাল ১১টায় বদ্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, ‘জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করো, ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন জীবিকা রক্ষা করো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জলবায়ু ন্যায্যতা সপ্তাহ উপলক্ষে জলবায়ু বাস্তচ্যুতদের সমাবেশের আয়োজন করে সচেতন নাগরিক কমিটি। এর সহযোগিতায় ছিলেন প্রগতি ও ক্লিন সংস্থা নামক দুটি এনজিও।
সেখানে বদ্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মাছুমা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ। এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সনাক সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সম্পাদক ম-লীর সদস্য ও অতিরিক্ত পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইনসহ গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের প্রতিষ্ঠান বুশরার চেয়ারম্যান রিপনকে বক্তব্য দেয়ার জন্য আহ্বান করা হয়। এসময় সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী আপত্তি জানিয়ে বলেন, “এধরনের অনুষ্ঠানে জামাতিদের সাথে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে কৌশলে একত্রিত করা গুরুতর অন্যায়। আমরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকাটা সম্মানজনক মনে করছি না। আমরা এ অনুষ্ঠান বয়কট করলাম।” সাথে সাথে এড. ফাহিমুল কিসলু, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে আসেন।
এ বিষয়ে টিআইবি সাতক্ষীরার কর্মকর্তা আব্দুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “অনুষ্ঠানে অতিথিদের দাওয়াতের দায়িত্ব ছিলো প্রগতির পরিচালক আশেক-ই-এলাহীর উপর। তিনি কাদের দাওয়াত দিয়েছেন সেটা আমার জানা ছিলো না। এছাড়া সমাবেশটি আয়োজন করার পূর্বে একটি প্রস্তুতি সভাও করেছিলাম আমরা। সেখানে সমমনা এনজিওগুলোর দাওয়ার দেওয়ার কথা থাকলেও বুশরা’র কোন প্রতিনিধিকে দাওয়াতের কথা বলা হয়নি। তিনি কীভাবে এটা করলেন আমার জানা নেই।
এদিকে গতকাল বিকালের দিকে প্রগতির পরিচালক আশেক ই-এলাহী এ ঘটনার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ব্যনার্জীসহ অন্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে জানা গেছে।