নিজস্ব প্রতিবেদক: “বিনা উদ্ভাবিত সম্প্রসারণযোগ্য প্রযুক্তিসমূহের পরিচিতি, লবণাক্ত সহিষ্ণু বোরো ধানের জাতসমূহের বৈশিষ্ট্য ও চাষাবাদ পদ্ধতি, বোরো ধান, সরিষা ও মসুরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং নতুন শষ্য বিন্যাস উদ্ভাবন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা এবং ডিএই, খামারবাড়ি, সাতক্ষীরার আয়োজনে পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষিতাত্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডাল, তেলবীজ এবং দানাজাতীয় ফসলের উচ্চ ফলনশীল এবং প্রতিকূলতা সহনশীল জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা সাতক্ষীরা মিলনায়তনে বিনা ময়মনসিং এর কর্মসূচির পরিচালক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান।
এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছর ৬০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি কমে যচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে কৃষকের হাতে নতুন নতুন জাত তুলে দিচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও খাদ্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিং এর কর্মসূচির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবির প্রমুখ। এসময় প্রশিক্ষণ নিতে আসা কৃষক মো. জালাল উদ্দিন, মো. আব্দুল হান্নান ও মো. মোমরেজ সরদার জানান আমরা এ প্রশিক্ষণ থেকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে আমরা লবাণাক্ত এলাকায় উচ্চ ফলনশীল শষ্য ফলাতে পারব এবং এলাকার কৃষকদের এব্যাপারে উৎসাহিত করতে পাবো। তাহলে সকলেই উপকৃত হবে। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৭৫ জন কৃষক ও ১০ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অংশগ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবির।