নিজস্ব প্রতিবেদক : এড. আব্দুর রহমান কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ কর্তৃক জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ৩ শিক্ষকদের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় এড.আব্দুর রহমান কলেজ ক্যাম্পাসে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে ডিগ্রি’র জন্য নিয়ম বর্হিভূতভাবে ইতিহাস বিভাগে সুরাইয়া সুলতানা, ভুগোল বিভাগে শাহাজান কবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে হুমায়ুন কবির কে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগের পর তারা ডিগ্রির শিক্ষক হয়েও নিয়ম বর্হিভূতভাবে মাধ্যমিকে এমপিও ভুক্ত করিয়ে বেতন হিসাবে সুরাইয়া সুলতানা ৭৭ হাজার ৯৪০ টাকা, শাহাজান কবির ৭৭ হাজার ৯৪০ টাকা, হুমায়ুন কবির ১ লক্ষ ১০ হাজার ৪১৫ টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও তারা যে বিষয়ে কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সে বিষয়ে কেউ পাশ করেন নি। পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে উক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ অবৈধ এবং তাদের বেতন সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশ ভুল এমন দাবি করে উক্ত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করেন। সে অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খুলনা আঞ্চলের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম শনিবার এড. আব্দুর রহমান কলেজে তদন্তের জন্য আসেন। এসময় রিসোর্স অফিসার কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানসহ কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ কাগজপত্র পর্যালোচনা শেষে উক্ত শিক্ষকদের কোন আশার বাণী শুনাতে পারেননি তারা। পূর্বের তদন্ত সঠিক বলে উল্লেখ করে তাদের বেতন হিসাবে গ্রহণ করা উক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন তারা।
এদিকে কলেজের অন্য ১২ জন শিক্ষকের স্বীকৃতি নবায়নের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান।
এবিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খুলনা আঞ্চলের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭১৬৯৮২৭৫৪ নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এত বিরক্ত করলে হবে। সেখানে অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নেনÑ বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এব্যাপারে অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান জানান, শিক্ষকদের সাথে আমার ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। আজ সেটির অবসান হয়েছে। আমরা সকলে পূর্বের ন্যায় একসাথে কাজ করবো।
পূর্ববর্তী পোস্ট