নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ দিনের যাতায়াতের রাস্তার উপরে মাটি খুড়ে রড ঢালাই দিয়ে বীম তৈরির পায়তারা চালাচ্ছে রাস্তার পাশ্ববর্তী জমির মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর বাজারে প্রধান সড়কের পার্শ্বে। এঘটনায় ভূক্তভোগী জমির মালিক শরিফুন্নেচ্ছা এহেন অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করায় এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করায় প্রতিপক্ষ অপর জমির মালিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর এলাকার মৃত দিলিপ কুমার মল্লিকের দুই ছেলে সন্দীপ কুমার মল্লিক ও অনুপ কুমার মল্লিক ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তারা প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। একাধিক স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর বাজারে এক দাগে মোট ২১ শতক জমি যা সাড়ে ১১ শতক করে সমান দুই মালিক যথাক্রমে ধুলিহর মাটিয়াডাঙ্গা এলাকার আব্দুল মালেকের স্ত্রী শরীফুন্নেছা ও ব্রহ্মরাজপুর এলাকার মৃত দীলিপ কুমার মল্লিকের পুত্র সন্দীপ কুমার মল্লিক ও অনুপ কুমার মল্লিক। এই জমিতে উভয় পক্ষের দলিলে লিখিত ভাবে ৫ লিংক করে মোট ১০ লিংক যাতায়াতের রাস্তা উল্লেখ আছে। এর তুয়াক্কা না করে গত রবিবার সন্দীপ কুমার মল্লিক ও অনুপ কুমার মল্লিক অপর পক্ষের দলিলে উল্লেখিত রাস্তার উপর গভীর মাটি খুড়ে রড ঢালাইয়ের বীম প্রস্তু‘তের কাজ শুরু করলে শরিফুন্নেছা ও তার ভাই সালাউদ্দিন বাঁধা দিলে তা উপেক্ষা করে কাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে শরিফুন্নেছার ভাই সালাউদ্দিন ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে লিখিত ভাবে জানালে চেয়ারম্যান দুই বার গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করতে ব্যার্থ হয়ে নিজেই গিয়ে রাস্তার উপর স্থাপনার কাজ বন্ধ করতে বলে এবং পরদিন অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টায় ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর আরও ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে সন্দীপ ও অনুপ তারা প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার হুমকি দেয়। এদিকে গত কাল সকাল ১০ টায় জমির মালিক শরিফুন্নেচ্ছার ভাই ও তাদের লোকজন কাগজপত্র নিয়ে সময় মত ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলেও অপর পক্ষের সন্দীপ ও অনুপ আসেনি। এঘটনায় রীতিমত এলাকায় সাড়া পড়ে গেছে অপরাধ করে প্রতিপক্ষকে হুমকি দিচ্ছে পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগীরা।