নিজস্ব প্রতিবেদক: শুরুতেই সুশীল সমাজে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে পেটুকের আড্ডা নামক ক্যাফেটেরিয়া। নাম ও শ্লোগান দুটিতে আপত্তি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া তারা প্রচারের জন্য যে পোস্টার সেটেছেন সেটি আবার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, আজীবন সংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কমরেড অমল সেনের স্মরণসভার পোস্টারে থাকা তার ছবির উপর। যা নিয়ে দিন ভর শহরের তুমুল বির্তকের সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, “খাও দাও ফূর্ত্তি করো, দুনিয়াটা মস্ত বড়” শ্লোগান, আর নাম দিয়েছে ‘পেটুকের আড্ডা’! এটা ভদ্রস্থ কোন নাম হতে পারে? এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরির মত প্রতিষ্ঠানের ভবনের সাথে এধরনের আপত্তিকর স্থূর রূচির নাম ব্যবহার করে কোন প্রতিষ্ঠান চালানোর ব্যবস্থা করায় জ্ঞান চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি কি ভূমিকা রাখবে তা কেউ বুঝতে পারছেন না! মাসিক কিছু ভাড়ার টাকার জন্য কি যা খুশি তাই করা যেতে পারে?
উল্লেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি’১৮ তারিখে এই ক্যাফেটরিয়াটির উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু পাবলিক লাইব্রেরির সাথে এধরনের প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ায় এবং কমরেড অমল সেনের স্মরণসভার পোস্টারে থাকা তার ছবির উপরে এ ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য সম্বলিত পোস্টার মারার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।
এবিষয়ে তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, “কমরেড অমল সেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠন। তাকে সকলেই শ্রদ্ধা করেন। তার মত একজন মহান ব্যক্তির স্মরণসভার পোস্টারের উপর যারা এধরনের পোস্টার মারে তাদের রূচিবোধ, রাজনৈতিক চিন্তাধারা নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা বিরোধী। আমি এর তীব নিন্দা জানাচ্ছি।”