যুব বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টের মতো বাংলাদেশের শেষটাও হলো ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি দল। দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী হয়েছে।
৫ম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কুইন্সটাউনে বুধবার বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৭৮ রানে। প্রোটিয়ারা জিতেছে ৬৯ বল বাকি রেখেই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ পড়ে ব্যটিং বিপর্যয়ে। দলে ফেরা ওপেনার নাঈম শেখকে প্রথম ওভারে হারিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। সপ্তম ওভারে পাঁচ বলের মধ্যে আউট হয়ে যান আমিনুল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়।
পরে মোহাম্মদ রাকিবের বিদায়ে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারায় ৩৩ রানেই। চারটিই নেন টুর্নামেন্টে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ফাস্ট বোলার ফ্রাসার জোন্স।
খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেন আফিফ ও শাকিল হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন গড়েন ৯৬ রানের জুটি।
বিপর্যয়েও দারুণ আক্রমণাত্মক খেলে আফিফ ৬৩ করেছেন ৫৯ বলে। ৭টি চারের পাশে ইনিংসে ছক্কা দুটি। যুব বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে আফিফের এটি চতুর্থ ফিফটি।
টুর্নামেন্টে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শাকিল হোসেন করেন ৬১। দশে নেমে টিপু সুলতান ১৮। বাংলাদেশ এর পরও গুটিয়ে যায় ৪১.৪ ওভারেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শুরুটাকে কাজে লাগাতে না পারলেও তৃতীয় জুটিই দলকে এনে দেয় জয়। ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রেনার্ড ফন টোন্ডার ও হারমান রোলফেস।
স্কোর-
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪১.৪ ওভারে ১৭৮ (সাইফ ১, নাঈম ২, আমিনুল ৭, হৃদয় ১, আফিফ ৬৩, রাকিব ২, শাকিল ৬১, অনিক ১৩, হাসান ০, টিপু ১৮*, রনি ০; জোন্স ৫/৩৩, এমনায়াকা ৩/২৭, রোলফেস ০/২৭, মোলেফে ০/২৫, স্মিথ ০/৩৮, ডি ক্লার্ক ১/২৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৮.৩ ওভারে ১৮০/২ (ব্রিটজকে ৩৬, পিল্লাই ১২, ফন টোন্ডার ৮২*, রোলফোস ৪৪*; হাসান ০/২৮, রনি ১/২১, অনিক ১/৩১, টিপু ০/৩৯, আফিফ ০/২৮, রাকিব ০/১৬, সাইফ ০/১৭)।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফ্রাসার জোন্স