বাদাম একটি সাধারণ শব্দ যা কোন উদ্ভিদের বড়, শুষ্ক এবং তৈলাক্ত বীজ অথবা ফলকে বোঝায়। যদিও অনেক উদ্ভিদের বীজ এবং ফলকে বাদাম হিসেবে ডাকা হয়, কিন্তু জীববিজ্ঞানীগণ এদের মধ্যে অল্প কিছু বীজ বা ফলকেই সত্যিকারের বাদাম হিসেবে বিবেচনা করেন।
বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়, শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের পরিমাণ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাদাম হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। এছাড়া বাদামে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে পলিফেনোলিক নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি হৃদরোগ, কোলন ক্যান্সার, স্ট্রোক, ভাইরাস ও ফাঙ্গাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে। বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। বাদাম শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
তবে বাদামের অনেক উপকারী পুষ্টিগুই থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বাদাম বেশি খেলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বাদাম একটি আঁশ জাতীয় খাবার-তাই বাদাম বেশি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা, পেট খারাপ হতে পারে। বাদাম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং বাঙালি হিসাবে আমরা মাছ, মাংস ও ডালের সাথে প্রোটিন গ্রহণ করে থাকি।
তাই বেশি প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক ওষুধের কার্যক্রমে বাধা দেয়। বাদাম খেলে অনেকের আবার এলার্জির সমস্যা হতে পারে। পরিমিত বাদাম গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই বেশি করে একবারের না খেয়ে নিজের হাতের এক মুঠ পরিমাণ বিকালের নাস্তা হিসেবে বা মধ্য দুপুরে খাওয়া যেতে পারে।