অনলাইন ডেস্ক: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার। ২৯ ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
৪৫ – জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা।
১৭৮১ – স্যার উইলিয়াম হার্শেল ইউরেনাস গ্রহ অবিষ্কার করেন।
১৮৯৬ – নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয়।
১৯৫৪ – ইন্দোচীনে দিয়েন বিয়েন ফু’র যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৭১ – শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল।
জন্ম
১৭৩৩ – জোসেফ প্রিস্টলি, ব্রিটিশ রসায়নবিদ।
১৮৬১ – জলধর সেন, বাঙালি সাহিত্যিক ও সম্পাদক। সাহিত্যকর্মের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি দেয়।
১৮৯৪ – সত্যেন্দ্রনাথ বসু (সত্যেন বোস), খ্যাতনামা বাঙালি পদার্থবিদ।
১৯০০ – গেওর্গে সেফেরিস, গ্রিসের নোবেলজয়ী কবি।
১৯১৪ – অদ্বৈত মল্লবর্মণ, বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক। তিনি তৎকালীন কুমিল্লা জেলার অধীনে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া মহকুমার গোকর্ণঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ শিরোনামের একটি উপন্যাস লিখে তিনি বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এ উপন্যাসটি সর্বপ্রথম ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি বহু শিশুপাঠ্য কবিতাও রচনা করেছেন। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার নিজ বাড়িতে অদ্বৈত মল্লবর্মণ মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩০ – আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক, বিজ্ঞানকর্মী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা। বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় যিনি ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু
১৭৩৯ – সুজাউদ্দিন খান, বাংলার সবেদার।
১৮৮১ – দ্বিতীয় আলেকজান্ডার, রাশিয়ার জার।
১৮৯৪ – হার্টজ, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯০১ – বেঞ্জামিন হ্যারিসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি।
১৯০৬ – সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনি, মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেত্রী।
১৯৬৭ – ফ্রাঙ্ক ওরেল, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ও জামাইকান সিনেটর।
১৯৭৬ – জসীম উদ্দীন, পল্লীকবি নামে পরিচিত বিখ্যাত বাংলাদেশি কবি।
১৯৮৫ – দিনেশ দাশ, বাংলাদেশি কবি।