একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শসা রাখতে পারলে রোগমুক্ত জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। কারণ শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে শসার বিকল্প খুঁজে পাওয়া অসম্ভবই বলা চলে। আজকের আয়োজন এই শসা নিয়েই—
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে আজ থেকেই শসা খাওয়া শুরু করুন। কারণ এ কাজে শসার বিকল্প নেই। শসার ভেতরে থাকে ফাইবার। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সমাধান হতে সময় লাগে না।
পানির অভাব মেটায়
দেহের ভেতরে পানির মাত্রা স্বাভাবিক থাকাটা খুবই জরুরি। নইলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন শসা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ত্বকের যত্ন
শসায় সিলিকা নামক একটি উপদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশের পর কোষের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে। সঙ্গে শরীরের প্রতিটি পেশি, লিগামেন্ট ও হাড়ের শক্তিও বাড়তে থাকে।
ক্যান্সার দূরে থাকে
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবারই অতিরিক্ত সচেতন থাকাটা জরুরি। কারণ গবেষণা বলছে, ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ক্রমাগত বাড়ছে। তাই সেসব খাবারই খাওয়া উচিত, যেগুলোতে এই মারণ রোগ দূরে থাকে। আর এ ক্ষেত্রে শসাকে বাদ দেওয়া কোনো ভাবেই চলবে না।
ভিটামিন
শরীর সচল রাখতে নানা ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। সেই ভিটামিনের জোগান ঠিক রাখতে শসা খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, ‘বি’ এবং ‘এ’ থাকে। এ ছাড়া খনিজের ঘাটতি মেটাতেও শসা কার্যকর।
পুষ্টির ঘাটতি দূর
একটি ৩০০ গ্রামের শসায় ১১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, দুই গ্রাম প্রোটিন ও দুই গ্রাম ফাইবার থাকে। সেই সঙ্গে থাকে দিনের চাহিদার ১০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ১৩ শতাংশ পটাসিয়াম ও ১২ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ।