মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাংগায় পাওনা টাকা ফেরত পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ করায় ব্যবসায়ীর নামে কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলার অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম। গোয়ালডাংগা গ্রামের বায়েজিদ মোড়লের পুত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বিকার ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম জানান, ১৭ সালে একই গ্রামের হক সরদার তার দোকানে ২৩ হাজার টাকা বাকি করেন একই সাথে ৪৫ হাজার টাকা ধার নেন। দোকান বাকি এবং ধারে টাকা নেওয়ার বিষয়টি গোয়ালডাংগা বাজারের বহু ব্যবসায়ী জানেন। হক সরদারের কাছে একাধিকবার টাকা চাওয়া হলে সে বহুদিন থেকে বিভিন্ন অযুহাতে নানা তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৬/০৭/১৭ ইং তারিখে তার কাছে টাকা চাইলে গেলে সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় দেয়ার হুমকি দেয়। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর থেকে হক পালাতক। পালাতক থাকা অবস্থায় হকের স্ত্রী মোনতাজ বেগম বাদি হয়ে কোর্টে আমাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। যে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপর। কালিগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জানান, মামলায় ৪জনকে স্বাক্ষী করা হলেও প্রাথমিক তদন্তে মোনতাজ বেগমের যে বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে সেখানে তিনি বলেছেন ঘটনাটি তিনি তার স্বামীকে বাড়িতে এসে বলেছে। স্বামী ছাড়া তিনি কাউকে ঘটনার বিষয়ে কিছু বলেননি বা ঘটনার সময় অন্য কেহ সেখানে ছিলেন না। তিনি আরও জানান, সঠিক তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে ঘটনাস্থানে যাওয়া হবে। আশাশুনি থানা সূত্রে জানাগেছে, হক সরদারের বিরুদ্ধে পাওনা টাকা না দিয়ে তালবাহানা করার বিচার চেয়ে কাদাকাটি ইউনিয়নের মোকামখালী গ্রামের ছায়েদ আলীর পুত্র হযরত আলী, একই ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের মোকছেদ আলীর পুত্র শরবত আলী, গোয়ালডাংগা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের কন্যা নাদিরা সুলতানা লিখিত অভিযোগ করেছেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষের থেকে টাকা ধার নিয়ে টাকা পরিশোধ না করে বেশিরভাগ সময় পালিয়ে থাকেন এই হক সরদার। এমতাবস্থায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে পরিত্রান পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি মফিজুল ইসলাম।
পূর্ববর্তী পোস্ট