জাতীয় দলের দুই সতীর্থ দাঁড়িয়ে গেলেন মুখোমুখি। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর লড়াইয়ে জিতলেন বাঁহাতি ওপেনার। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে অফে মাহমুদউল্লাহর কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে নাটকীয়ভাবে ১ রানে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো তামিমের পেশাওয়ার জালমি।
জেতার জন্য শেষ বলে কোয়েটার দরকার ছিল ৩ রান। ২ রান নিতে পারলেই ম্যাচ গড়াতো সুপার ওভারে। সেই চেষ্টাই করেছিলেন আনোয়ার আলী ও মীর হামজা। কিন্তু ১ রান নেওয়ার পর হামজা রান আউট হয়ে গেলে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নেয় পেশাওয়ার।
লিয়াম ডসনের ঝড়ো ৬২ রানের ওপর ভর দিয়ে পেশাওয়ার নির্ধারিত ২০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরে জমা করে ১৫৭ রান। তামিমের ব্যাট থেকে ২৯ বলে আসে ২৭ রান। জবাবে কোয়েটা ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৫৬ রান। প্লে অফের এই জয়ে দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে তামিমরা মুখোমুখি হবে করাচি কিংসের। বুধবারের এই ম্যাচের জয়ী দল শিরোপা জেতার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
শুরুটা চমৎকার হয়েছিল তামিম ইকবালের। বড় স্কোর গড়ারই প্রতিশ্রুতি ছিল তাতে। যদিও পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফেরাটা মধুর করতে পারেননি বাংলাদেশি ওপেনার, আউট হয়ে গেছেন ২৭ রানে।
মঙ্গলবার পেশোয়ার জালমি-কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যাচ দিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গিয়েছেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ। নিদাহাস ট্রফি শেষে লাহোরে উড়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ শুরুটা করেছেন দুর্দান্ত। বল হাতে নিয়েই উইকেট পেয়েছেন কোয়েটার এই অলরাউন্ডার। বোল্ড করে ফিরিয়েছেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা মোহাম্মদ হাফিজকে (১৪ বলে ২৫)। ২ ওভারে ২০ রান খরচায় তার শিকার ১ উইকেট। আর ব্যাট হাতে মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে করেন ১৯ রান।
তামিমের শুরুটাও হয়েছিল বিধ্বংসী রূপে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধার কমে পেশোয়ার ওপেনারের ব্যাটিংয়ের। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে টম কোহলের-চ্যাডমোর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ক্রিকইনফো