নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ একই পরিবারের ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনা একদিন পার হতে না হতেই আবারও যশমান্ত সরকারের স্ত্রী তারামনি কে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত সহ বেধড়ক মারপিট করে শ্লীলতাহানীর ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্র জানায়, সোমবার সকালে খাজরা ইউনিয়নের গজুয়াকাঠি গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত ধনঞ্জয় সরকার, পারুল রাণী সরকার, জগদিশ সরকার ও যশমান্ত সরকার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহতরা জানান, চিত্ত রঞ্জন সরকার, জিতেন্দ্র নাথ সরকার, জয়দেব সরকার, স্বপন সরকার ও মৃগগঙ্গাসহ ১০/১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে আমাদের বসতবাড়ীতে এসে হামলা চালায়। এসময় ধনঞ্জয় ও যশমন্ত সরকারের দু’টি ঘরের চাল, জানালা-দরজা ও খাট ভাংচুর করা হয় এবং বাড়ীতে থাকা প্রায় ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও একটি সোনার চেইন লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটনার একদিন পার হতে না হতেই আবারও ধনঞ্জয় সরকারের পরিবারের সদস্যের উপর হামলার ঘটনায় বর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
সংঘর্ষ চলাকালে চিত্তরঞ্জনের পক্ষের লোকজন ধনঞ্জয়ের বসতঘর ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এঘটনার পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে ০১৯৫৯-৩১১০০১ নাম্বার থেকে ভবতোষ সরকার ধনঞ্জয় সরকারের ছেলে কে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলে তোদের কাউকে বাঁচতে দেবো না।
এদিকে ভূক্তভোগী পরিবারের অপর সদস্যরা প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে বাড়িতে যেতে পারছেনা। তাদের নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে যেগে বাঁধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে, প্রতিদিন ৮/১০ জন ব্যক্তি তাদের বাড়ির সামনে পাহারায় আছে। অপরদিকে ভূক্তভোগী পরিবারের বৃদ্ধ কনক চন্দ্র সরকার নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ কনক চন্দ্র সরকারের জন্য খাবার নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। এব্যাপারে অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের উপর মিথ্যাভাবে দোষারাপ করা হয়েছে।
আশাশুনিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মহিলাকে মারপিট
পূর্ববর্তী পোস্ট