আসামি হওয়ায় দেশের আইন অনুযায়ী আবেদন করলেও লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন পাসপোর্ট পাবেন না বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো পাসপোর্ট নেই। ফলে দেশে ফিরতে তাকে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আগারগাঁও ডিআইপি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। তার কাছে যে পাসপোর্ট ছিল সেটি ২০১৪ সালে উনি জমা দিয়েছেন। এর পর নতুন করে পাসপোর্টের জন্য আর কোনো আবেদন তিনি করেননি। পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তবে কীভাবে সেখানে অবস্থান করছেন সেটি যুক্তরাজ্যের সরকার জানেন।
আবেদন করলে তারেক পাসপোর্ট পাবেন কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন করে আবেদন করেছেন কিনা এ তথ্য আমার কাছে নেই। তবে আবেদন করলেও আইন অনুযায়ী তিনি নতুন পাসপোর্ট পাবেন না। আইনে রয়েছে, আবেদনকারী দরখাস্ত পেশের তারিখ থেকে আগের পাঁচ বছরের ভিতরে যেকোনো সময় বাংলাদেশের যেকোনো আদালত দ্বারা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাজাপ্রাপ্ত অথবা ন্যূনতম দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি পাসপোর্ট পাবেন না।
মহাপরিচালক আরও বলেন, তারেক রহমান ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তখন তার পাসপোর্ট ছিল হাতে লেখা, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ছিল না। ২০১০ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে তিনি ওই পাসপোর্ট সারেন্ডার করেন। এখন নতুন পাসপোর্ট নিতে হলে তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড তার নেই। এটি নিতে হলে অবশ্যই দেশে আসতে হবে।