আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাগুলি সব ‘প্রহসন’। কোন সালে কে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সবকিছু মেনেই বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট কারও মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয়। না হলে, ডায়না হেডেন কখনও বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিততে পারেন? আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে এবার এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
তিনি বলেন, পর পর ৫ বছর বিশ্ব সুন্দরীর শিরোপা জিতেছে ভারত। ভারতের মেয়েদের মাথায় উঠেছে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপার মুকুট। সেখানে নাম রয়েছে ডায়না হেডেন-এরও। কিন্তু, ডায়না হেডেন কি বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার উপযুক্ত? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েই এবার নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব দেব। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে বিশ্ব সুন্দরী হন ডায়না।
শুধু ডায়নাকে একহাত নিয়েই চুপ থাকেননি বিপ্লব। ডায়নার সঙ্গে তুলনা করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন-কেও ময়দানে টেনে আনেন। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করেন ঐশ্বরিয়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় নারীদের তুলে ধরেছেন রাই। তিনি বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন বিপ্লব।
শুধু তাই নয়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুরনো দিনে ভারতীয় নারীরা কখনও কসমেটিকস ব্যবহার করতেন না। চুল ধোয়ার জন্য ভারতীয় নারীরা শ্যাম্পু নয়, মেথির পানি ব্যবহার করতেন। গোসল করতেন মাটি দিয়ে। কিন্তু, যাঁরা আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, তাঁরা এক একজন ‘কসমেটিকস মাফিয়া’। ভারতীয় বাজারে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতেই তারা ওই পন্থা নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিপ্লব দেব।
বিপ্লবের কথায়, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করেছেন, ঠিক আছে। কারণ বিশ্বের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে তিনি ভারতীয় নারীদের তুলে ধরেছেন। কিন্তু, ডায়না হেডেনের কী সৌন্দর্য রয়েছে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ডায়না হেডেনের বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় ‘প্রহসন’ ছাড়া অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।