নিজেস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির রেশন কার্ড বিতরনে অনিয়মের অভিযোগের প্রথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধহাটা ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ডের অনেক দুঃস্থ পরিবারকে বঞ্চিত করে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের নামে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণের রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলাম ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামে সরজমিনে তদন্ত করেন। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বাড়ী যান এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও অভিযুক্তের বক্তব্য রেকর্ড করেন। এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি যাচাই বাছাই করে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পেশ করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নৈকাটি গ্রামের ইসমাইল সরদারের পুত্র রুহুল আমিন সরদারকে ১৯৩৯ নং ও ২০৫৪নাম্বারের দুটি কার্ড দেওয়ার বিষয়টি রেশন কার্ড তালিকায় পাওয়া গেলেও রুহুল আমিন সরদারের কাছে শুধু মাত্র ১৯৩৯ নং কার্ডটি পাওয়া যায় যেটার সুফল তিনি ভোগ করছেন। তবে ২০৫৪ নাম্বারের রেশন কার্ডের বিষয়ে মূল নথি দেখে নিশ্চিত হবেন বলে জানান। প্রকৃত অর্থে যে সকল দুঃস্থ পরিবার রেশন কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদের মধ্যে অনেকের দাবী সে সমস্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন সেগুলো বেশির ভাগই সত্য নয় তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিয়য়টিকে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
পূর্ববর্তী পোস্ট