নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভানেত্রী সাবেক এমপি বেগম আশরাফুর নেছা মোশারফ। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী সাবেক এমপি বেগম ফরিদা রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম প্রমুখ। এসময় মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার সাতক্ষীরা জেলা সংগঠনটির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং ব্যর্থতা দেখে বলেন, “১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে মহিলা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী করতে দেশে বিদেশে জোর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের যতগুলো শাখা আছে তার মধ্যে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কমিটি সবচেয়ে অকার্যকর কমিটি। সবচেয়ে দুর্বল কমিটি। অযোগ্য কমিটি। শুধুমাত্র মিটিং দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মতো এরকম একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল চলতে পারেনা।” তিনি উপস্থিত ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা যদি চান তাহলে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী কমিটি দেওয়া হবে। কারণ এখানে রাজনীতি করবেন আপনার, দল পরিচালনা করবেন আপনারা।” সম্মেলন শেষে জানানো হয়, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং দ্রুত জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে। এদিকে, অনুষ্ঠানে কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভা নেত্রী জেবুন্নাহার তার বক্তব্যের শেষে বলেন, জয় হোক বঙ্গবন্ধুর, জয় হোক জঙ্গিবাদের। এঘটনার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সকলে হাসা-হাসি শুরু করেন। যদিও তিনি কিছুই বুঝতে না পেরে বক্তৃতা শেষ করেন। এ ঘটনা নেতাকর্মীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। উল্লেখ্য সাতক্ষীরা জেলায় মহিলা আ.লীগের প্রথম কমিটি গঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। সেখানে মিসেস রিফাত আমিনকে সভানেত্রী করা হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় এবং ২০০৬ সালে তৃতীয় ও শেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবারই তিনি সভানেত্রী নির্বাচিত হন। গত ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হন। কিন্তু জেলার কোথাও মহিলা আ.লীগের কোন অফিস বা কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
পূর্ববর্তী পোস্ট