আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন কুখ্যাত গিনা হ্যাসপাল। বন্দিদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের কারণে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
গিনা হচ্ছেন সিআইএর এমন কর্মকর্তা, যিনি ২০০১ সালের ঐতিহাসিক নাইন ইলেভেনের পর মুসলমানদের গোপন কারাগারে নিয়ে নিষ্ঠুরতম নির্যাতনের বিভিন্ন কলাকৌশল উদ্ভাবন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন এক গোপন কারাগার ছিল থাইল্যান্ডে। যেখানকার নিষ্ঠুরতার কালো অধ্যায়টি সরাসরি দেখভাল করতেন এই গিনা। ওই কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের নামে কঠোর নির্যাতন করা হতো।
বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটের ভোটে সিআইএ প্রধান হিসেবে তার নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। সিনেটের ১০০ সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন গিনার পক্ষে এবং ৪৫ জন বিপক্ষে ভোট দেন। এরমধ্যে ডেমোক্রেট দলের ছয়জন সিনেটর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত এ বিতর্কিত নিয়োগের পক্ষে ভোট দেন।
যদিও সিআইএর প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে গিনা হ্যাসপালের নিয়োগকে অনেকে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু ম্যাককেইন মনে করেন, গিনাকে সিআইএর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত করা ভুল সিদ্ধান্ত।
২০০২ সালে থাইল্যান্ডের কুখ্যাত কারাগারটি পরিচালনা করেন গিনা। ওই সময় বিভিন্ন মানুষকে সন্দেহভাজনদের ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছিল।