ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: আট মাসে মাত্র ১৬ দিন অফিস করেছেন রমেশচন্দ্র ফেফার। এর কারণ দর্শাতে নোটিশ জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। জবাবে তিনি যা বলেছেন, তাতে আক্কেলগুড়ুম কর্তৃপক্ষের।
রমেশের দাবি, তিনি শ্রীবিষ্ণুর দশম অবতার। তিনিই কল্পি। এখন বিশ্বজনের বিবেক শুধরাতে ব্রত করছেন, তাই অফিসে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।
গুজরাট রাজ্যের এ সরকারি কর্মকর্তার দাবি, তার ব্রতর জন্যই এ বছর ভারতে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে।
সর্দার সরোবর পুনর্বসবত এজেন্সি-এসএসপিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পঞ্চাশোর্ধ্ব রমেশচন্দ্র।
আগে ঠিকমতোই কাজকর্ম করতেন তিনি। কিন্তু যেদিন থেকে নিজেকে কল্কি অবতার বলে জানতে পেরেছেন, তখন থেকেই অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন তিনি।
এর কারণ দর্শানোর জবাবে তিনি দাবি করেছেন, বিশ্ববাসীর বিবেক জাগ্রত করার জন্য ব্রত করছেন, অফিসে গিয়ে সময় নষ্ট করা তার পক্ষে এখন সম্ভব নয়। আর অফিসে বসে ব্রত করাও যায় না।
রমেশের এমন জবাবের কথা জানাজানি হতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, আপনারা বিশ্বাস না করতেই পারেন, কিন্তু আমি সত্যিই শ্রীবিষ্ণুর দশম অবতার। শিগগিরই এ কথা প্রমাণ করে দেব।
তিনি দাবি করেন, ২০১০-এর মার্চে অফিসে কাজ করার সময় বুঝতে পারি যে আমিই কল্কি। তখন থেকে আমার মধ্যে ঐশ্বরিক শক্তি এসেছে।
রমেশ আরও বলেন, শেষ ১৯ বছরে দেশে যে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে তা তার ব্রতর ফল। এখন এসএসপিএ ঠিক করুক, তাদের কাছে কোনটা বেশি জরুরি, অফিসে বসিয়ে তার সময় নষ্ট করানো নাকি খরার হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে তাকে সাহায্য করা। সূত্র : এবিপি আনন্দ।