বড়দল (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলাতে একটি অসহায় পরিবারের শেষ সম্বল দেড় শতকের ভিটে বাড়ি জবর দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বড়দল উত্তর পাড়া গ্রামে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জান াগেছে, বড়দল উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত ইনছার ঢালীর পুত্র আব্দুর সালাম ঢালী(৪৫) পৈত্রিক সূত্রে ১ শতক এবং ফুবোর রেখে যাওয়া অংশের হিচ্ছা মোতাবেক অধ্য শতক মোট দেড় শতক জমিতে ঘর বেঁধে ২০ বছর যাবৎ স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে কোন রকম মাথা গুজে জীবন ধারন করে যাচ্ছেন। বিগত কয়েক মাস থেকে প্রতিবেশি মৃত বক্কর ঢালীর স্ত্রী মর্জিনা (৫১) ও সন্তান মাসুদ ঢালী (৩৫) তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দাবি করে সালাম ঢালীর অসহায় পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এমনকি তাদের ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে অসহায় পরিবারটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দারস্থ্য হয়। ইউপি চেয়ারম্যান একাধিকবার বসাবসি করে জমির কাগজ পত্রাদি দেখে অসহায় সালাম ঢালীর পক্ষে রায় দিলে প্রতিপক্ষ মাসুদ ঢালী ও তার মা মর্জিনা সে বিচার মানতে নারাজ। সম্প্রতি মাসুদ ও তার মায়ের কথা মত ঘর ছেড়ে চলে না যাওয়ার অপরাধে সালাম ঢালীর বারান্ডায় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে সব কিছু তছনছ করে দিয়ে বসবাসের অযোগ্য করে দিয়েছে মা ও ছেলে। সালাম ঢালীর জানান, পৈত্রিক ্ও ফুবোর থেকে পাওয়া দেড় শতক জমিতে আমি বসবাস করছি। আমি অসুস্থ্য, স্ত্রী অন্যের খেতে কামলা খেটে যা আয় করেন তা দিয়ে চলে চারটি মুখ। আমার শেষ সম্বলটার দিকে কেন তারা নজর দিচ্ছে। তারা যদি জমি কিনে থাকে তাহলে তারা তো অবশ্যই পাবে। জমি তো সেখানে আছে। আমার ঘর ভেঙে তাদের জমি এক প্লটে করে নিবে এটা কি কোন বিচার? প্রতিপক্ষ মর্জিনা খাতুন জানান, আমরা কিনেছি তাই জমি বের করে নেব। তাতে কারো ঘর ভাঙা পড়লো কিনা সেটা আমার দেখার বিষয় না। স্থানীদের মতে সালাম ঢালীর পৈত্রিক ১ শতকের একটু বেশি জমি আছে এবং সেখানে সে বসবাস করে আসছে। তারপরও যদি তার ঐ এক শতক জমি না থেকে থাকে তাহলে তো সে ভূমিহীন। একজন ভূমিহীনকে উচ্ছেদ করার কিছু সিস্টেম ত্ োআছে।
আশাশুনিতে এক অসহায় পরিবারের শেষ সম্বল জবর দখলের পায়তারার অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট