আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিয়েভে আশ্রয় নেয়া রুশ সাংবাদিক আরকাদি বাবচেঙ্কোর হত্যা নিয়ে নাটক সাজিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থার এক কর্মকর্তা বাবচেঙ্কোকে নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় ইউক্রেনের নিন্দা করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার কিয়েভের কর্মকাণ্ডকে তথ্য যুদ্ধের অংশ অ্যাখ্যা দিয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, তারা আরকাদি বাবচেঙ্কোকে খুনে রাশিয়ার চক্রান্ত উন্মোচন করেছে। মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, কিয়েভের কর্মকাণ্ডই উসকানিমূলক।
ক্রেমলিনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ৪১ বছর বয়সী বাবচেঙ্কোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিল কিয়েভ পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাদানুবাদের মধ্যেই বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন বাবচেঙ্কো।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ভাসিল হেরিৎসাক জানান, বাবচেঙ্কোকে হত্যা করতে রুশ বাহিনী যে খুনিকে টাকা দিয়েছিল, তাকে ধরতে চিরুনি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছে কিয়েভ পুলিশ।
২০১৪ সালে মস্কো ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করে নিলে কিয়েভের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে চলা রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে রাশিয়া ছদ্মবেশে বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ কিয়েভের। বাবচেঙ্কোর খুনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দুই দেশ নতুন করে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে ২০১৭ সালে রাশিয়া ছেড়ে আসা সাংবাদিক জানান, মাসখানেক আগে তাকে হত্যায় রুশ চক্রান্তের কথা জানতে পেরে ইউক্রেনের পাল্টা-অভিযানে সহায়তা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এ খুনের নাটক ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।
সিরিয়া ও ইউক্রেন নিয়ে ক্রেমলিনের ভূমিকাকে আগ্রাসন অ্যাখ্যা দেওয়ায় মৃত্যুর হুমকি পেয়েই দেশ ছেড়েছেন বলেও দাবি তার।
নব্বইয়ের দশকে চেচনিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করেছেন তিনি। তিনি দেশটির যুদ্ধবিষয়ক প্রতিবেদক হিসেবে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেন।