ন্যাশনাল ডেস্ক: গত ৩ মে র্যাব-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি নির্মূলের মতো এবার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন৷ এরপর সারা দেশে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে নামে এলিট বাহিনী৷ অভিযান শুরুর পর থেকে প্রতি রাতেই ৮-১০ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাচ্ছেন৷ অথচ যাকে নিয়ে শুরু থেকে আলোচনা, সেই আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি৷
মাদকবিরোধী অভিযানের আগে পাঁচটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সমন্বয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকা তৈরি করে সরকার৷ সেই তালিকায় মাদকের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) এমপি আব্দুর রহমান বদির নাম৷ এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় এক নম্বরে আছে বদির নাম৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা টেকনাফের শীর্ষ মানব পাচারকারীর তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল৷ দেশে মাদক ইয়াবার গডফাদার ও ব্যবসায়ীর তালিকায় টানা ১০ বছর ধরে ছিল বদির নাম৷ কিন্তু গত মার্চ মাসে একটি সংস্থার তালিকা থেকে সেই নাম বাদ দেওয়া হয়৷ তবে সেই তালিকায় বদির পাঁচ ভাই, এক ফুপাতো ভাই, দুই বেয়াই ও এক ভাগ্নের নাম আছে৷ তালিকায় সব মিলিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে৷ এদের অনেকেই এখন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷
ইতোমধ্যেই ইয়াবা গডফাদাররা ভারত-মিয়ানমারে পালিয়ে গেলেও বদির পরিবারের সদস্যরা ঢাকা- চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। বদির ভাই ইয়াবা গডফাদর ও টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর মুজিব মিয়ানমারে আশ্রয় নিয়েছে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অন্যরা কোথায় আছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে র্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের মাঝেই এবার ওমরা পালনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন এমপি বদি। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাতে একটি বেসরকারি বিমানে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বদি।
যদিও এমপি বদির হঠাৎ দেশত্যাগ করাকে কৌশল হিসেবে মনে করছেন অনেকে। অভিযান থেকে বাঁচতেই বদি ওমরায় চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তিনি দেশ ছেড়েছেন। তবে ওমরা পালন শেষ আগামী মাসে তার দেশে ফিরার কথা রয়েছে।