নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে মারপট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে ওই গৃহবধূ মারা যায়।
নিহত গৃহবধূর নাম মোছাঃ মুসলিমা খাতুন(২০)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন গাইনের স্ত্রী ও একই গ্রামের মঈনুল খাঁর মেয়ে।
নিহতের বাবা রাজাপুর গ্রামের মঈনুল খাঁ জানান, প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের আইয়ুব আলী গাইনের ছেলে সোহাগ হোসেন গাইনের সাথে তার মেয়ে মোছাঃ মুসলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শাশুড়ি প্রায় গৃহবধূ মুসলিমা খাতুনকে মারপিট করতো। এক বছরের একটি মেয়ে সন্তান থাকায় সব নির্যাতন সহ্য করে সে স্বামীর সংসার করে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি জেসমিন নাহার মুসলিমা খাতুনকে মারপিট করলে মেয়েকে নিয়ে সে আমার বাড়িতে চলে আসচ্ছিল। পথে স্বামী সোহাগের সাথে দেখা হলে সে মুসলিমাকে মারপিট করতে করতে ফের তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায় মুসলিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মারা গেছে ভেবে তার মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেয় সোহাগ। কিছুক্ষন পর নড়চড়া করতে দেখে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে স্থানীয় বিছট বাজারে গ্রাম্য ডাক্তার অরুন কুমার বিশ্বাসের চেম্বারে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তার তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাতেই তাকে সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে সে মারা যায়। এঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে আশাশুনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আপততঃ থানায় একটি অপমৃতূ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতের ময়না তদন্ত শেষে রির্পোট পাওয়ার পর পরবর্তী প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
আশাশুনিতে এক গৃহবধূকে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট