স্টিভ রোডস বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হতে যাচ্ছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ৫৪ বছর বয়সী এই ইংলিশকেই কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন রোডস।
এর আগে মাহেলা জয়াবর্ধনে, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ফিল সিমন্স, টম মুডি, কুমার সাঙ্গাকারা, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, রিচার্ড পাইবাস, জিওফ মার্শের মতো বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয় বোর্ড। তবে কাউকেই রাজি করাতে পারেনি। তাই আপাতত দায়িত্বটা দেয়া হয় বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে।
কারণ দর্শিয়ে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে কোনো দলের হয়ে অল্প সময়ে প্রচুর অর্থ পাওয়ায় তাদের রাজি করানো যায়নি। দীর্ঘমেয়াদি তারা বাংলাদেশের কোচ হতে চাচ্ছেন না। বাংলাদেশকে মূলত এ ঝামেলা থেকে মুক্তি দিলেন কিংবদন্তি কোচ গ্যারি কারস্টেন। তার পরামর্শেই রোডসকে কোচ বানাতে আগ্রহী হয় বিসিবি।
বলা যায়, বেশ ভালো কোচই পেতে যাচ্ছেন মুশফিকরা। তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করতে জহুরি চোখ তার। গড়পড়তা মানের দলকে সাফল্য এনে দিতে সুনাম আছে। তবে কোনো জাতীয় দলে কাজ করেননি। সব অভিজ্ঞতা ইংলিশ কাউন্টিতে। এটি বাংলাদেশের জন্য কাজে আসতে পারে বলে মনে করছে বিসিবি। কারণ ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে।
রোডস খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন উইকেটরক্ষক। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১১ টেস্ট ও ৯ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। তবে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন কাউন্টি দল উস্টারশায়ার খেলোয়াড় ও কোচ হয়ে। ১৯৮৫-২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ২০ বছর দলটির হয়ে খেলেন। ২০০৬ সালে সেখানে কোচ হিসেবে টম মুডির স্থলাভিষিক্ত হন। ২০০৬-২০১৭ সাল পর্যন্ত একই সঙ্গে উস্টারশায়ার কোচ ও পরিচালকের দ্বৈত ভূমিকা পালন করেন।
রোডসের সঙ্গে পরিচয় আছে বাংলাদেশের একমাত্র সাকিব আল হাসানের। ২০১১ মৌসুমে তার অধীনেই উস্টারশায়ারে খেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দুই মৌসুমে দলটির হয়ে ২৬ ম্যাচ খেলেন তিনি। ফলে ইংলিশ মস্তিষ্কের কোচিংয়ের ধরন সম্পর্কে বেশ ভালো জানা তার।