পাইকগাছা বুরে্য: পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতভাবে। পৌর সদরের রাস্তাটি যানজটে পরিপূর্ণ। ট্রাফিক ব্যবস্থা ও নির্দিষ্ট ষ্টান্ড না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্থ। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা লেগেই আছে। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। জানা যায়, বিশেষ করে পৌর সদর হতে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চলাচল ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট ভ্যান ষ্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্রভাবে রাস্তার উপর গাড়ি পার্কিং করে মালামাল উঠানামা করে থাকে। যেকারণে যানজট লেগেই রয়েছে। বাজার কপোতাক্ষ মার্কেটের সামনে এলোপাতাড়িভাবে ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের লাইন পড়ে যায়। বাজার থেকে তেল পাম্প পর্যন্ত রাস্তায় রয়েছে বাস পার্কিং এর লম্বা লাইন, সামান্য যেটুকু জায়গা থাকে তা দিয়ে গাড়ি চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। বাজার সংলগ্ন মাছ কাটা মার্কেট ও ডিপো মার্কেটে ভারীযান চলাচলের কারণে যানজট লেগে আছে। এছাড়া দূরপাল্লার পরিবহন, ষ্ট্রান্ডের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যাত্রীরা পরে মহা বিপাকে, ব্যাক্তিমালিকানায় একটি ছোট ষ্ট্যান্ড থাকলেও তা রয়েছে পাইকগাছা আদালত পাড়ায় ও বালিকা বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে। ফলে পরিবহন পাকির্ং করতে আদালত ও বালিকা বিদ্যালয়ের রাস্তাটিতে প্রবেশ করতে হয় যেকারণে বিদ্যালয় শুরু ও ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের রাস্তার পাশে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় একই সমস্যায় পড়ে আদালতে আসা বিচার প্রার্থীরা। পাইকগাছার ব্যস্ততম প্রধান সড়ক বাদে পৌর মেয়রের বাড়ির পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক রয়েছে ট্রাফিকের ব্যবস্থা থাকলে হয়তো ট্রাফিক আইন মেনে যান গুলো এক রাস্তা দিয়ে আসা ও অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কৌশল অবলম্বন করতো। যাতে কিছুটা হলেও যানজট কমার সম্ভবনা থাকতো। যানজটের কারণে পৌরবাসী চলাচল ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এই মুহুর্তে পাইকগাছা পৌরসদরে একটি নির্দিষ্ট ভ্যান ষ্ট্যান্ড ও জিরো পয়েটে দুটি ট্রাফিকের ব্যবস্থা ঢাকাগামী পরিবহনের ষ্ট্যান্ড, ট্রাক ষ্ট্যান্ড সহ বাইপাস সড়কের অতিব জরুরী বলে এলাকার একাধিক অভিজ্ঞ মহল মত দিয়েছেন। এছাড়াও পৌর সদরের পৌরসভার সীমানা পর্যন্ত ভেঙ্গে চুড়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। উপরোক্ত দাবিসহ রাস্তাটি সংস্কারের দাবি করেছেন পৌরবাসী।
পূর্ববর্তী পোস্ট