আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী ভাইজিকে ধর্ষণের দায়ে চাচা জিয়াউর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ্বন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী জিয়াউর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ তলুইগাছা গ্রামের মৃত রাহাতুল্লাহ সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর বেলা দেড়টার দিকে আসামি জিয়াউর রহমান তার আপন ভাইজি সদর উপজেলার ভবানীপুর হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে কৎবেল খাওয়ানোর নাম করে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবর স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ভাঙ্গা কবরের মধ্যে ফেলে তাকে সে ধর্ষণ করে। এসময় সেখানে থাকা একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ডাকতে থাকলে স্থানীয়রা সেখানে যাওয়ার আগেই ধর্ষক জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনার দুই দিন পর ৩০ অক্টোবর মেয়েটির মা (জাহানারা খাতুন) বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় আসামী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা সদও থানার এসআই আসাদুজ্জামান বিষয়টি অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২ মার্চ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে এ মামলায় ৪ জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামি জিয়াউর রহমান পলাতক ছিলেন।