দেশের খবর: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পাননি দলটির নেতাকর্মীরা। ফলে শনিবার কারাফটকের সামনে থেকেই ফিরে গেছেন তারা।
এদিকে সাক্ষাতের অনুমতি না দেয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি না দেয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ইচ্ছার কারণেই খালেদা জিয়াকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। দলীয় চেয়ারপারসনকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন।
দলীয় চেয়ারপারসন কারাগারে থাকায় ঈদে দলটির কোনো কর্মসূচি নেই। দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগারের সামনে অবস্থান করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। এটাই বিএনপির কর্মসূচি বলে জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টায় কারাগারে সামনে আসেন বিএনপির অঙ্গ–সংগঠন মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। এরপর সেখানে মূল দল ও অঙ্গ–সংগঠনের আরও কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হয়। তবে পুলিশ তাদের কাউকেই কারা ফটকের কাছে যেতে দেয়নি।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাফটকের সামনে আসেন মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাঁরা কারাফটকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এরপর তারা সেখানে কিছু সময় অপেক্ষার পর চলে যান। তখনো অনেক নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রল পুলিশের পরিদর্শক আল মামুন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত পরশু বিএনপির পক্ষ থেকে আজ খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে কারা অধিদফতরের কোনো অনুমতিপত্র তাদের কাছে আসেনি। এ জন্য বিএনপির নেতাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেল না বিএনপি
পূর্ববর্তী পোস্ট