খেলার খবর: এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। করেছেন হ্যাটট্রিক। শিরোপার অন্যতম দাবিদার স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রোনালদোর পর্তুগাল। ম্যাচ শেষে অবশ্য ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামাতে যাননি অনেকেই। মুগ্ধ হয়ে ছিলেন রোনালদোর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে।
বিবিসির এক অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা গ্যারি লিনেকার বলেছেন, ‘এটা আমার দেখা বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ। বিশেষত গ্রুপ পর্বে।’ রোনালদোর পারফরম্যান্সেরও ভূয়সী প্রশংসা আসছে ফুটবল দুনিয়া থেকে। তবে বিশ্বকাপে এমন একক নৈপুণ্যে নজর কাড়ার ঘটনা কিন্তু নতুন কিছু না। এর আগেও অনেকে ছড়িয়েছেন এমন মুগ্ধতা। এমনই কিছু চোখধাঁধানো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের কথা থাকছে এই প্রতিবেদনে।
ওলেগ সালেঙ্কো – রাশিয়া ৬-১ ক্যামেরুন (১৯৯৪ বিশ্বকাপ)
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের এক ম্যাচে পাঁচ গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো। রাশিয়া ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে বিদায় নিয়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই। তারপরও যৌথভাবে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন সালেঙ্কো।
সানডোর কোসিস- হাঙ্গেরি ৮-৩ পশ্চিম জার্মানি (১৯৫৪ বিশ্বকাপ)
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সানডোর কোসিস। এরপর পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে একাই করেছিলেন চার গোল। ৮-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবিয়েছিলেন জার্মানিকে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সেই হাঙ্গেরি দল বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাবে- এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফাইনালে গিয়ে তাদের হারের স্বাদ দিয়েছিল জার্মানি।
জিনেদিন জিদান- ফ্রান্স ৩-০ ব্রাজিল (১৯৯৮ বিশ্বকাপ)
১৯৯৮ সালের পুরো বিশ্বকাপেই জাদু দেখিয়েছেন ফ্রান্সের অধিনায়ক জিনেদিন জিদান। তাঁর অসাধারণ দৃঢ়তাপূর্ণ নৈপুণ্যে ভর করে ফ্রান্স চলে এসেছিল ফাইনাল পর্যন্ত। ব্রাজিলের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের সেই অন্তিম লড়াইয়ে জিদান দেখিয়েছিলেন জাদু। নিজে করেছিলেন দুটি গোল। সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছিলেন আরো একটি। শেষমেশ ৩-০ গোলের জয় দিয়ে ফ্রান্স পেয়েছিল শিরোপা জয়ের স্বাদ।
ইউসেবিও- পর্তুগাল ৫-৩ উত্তর কোরিয়া (১৯৬৬ বিশ্বকাপ)
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পূর্বসুরী ইউসেবিও-ও বিশ্বকাপে দেখিয়েছিলেন নজরকাড়া এক ব্যক্তিগত নৈপুণ্য। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর হারের আশঙ্কাই চেপে বসেছিল পর্তুগাল সমর্থকদের মনে। সেসময় অসাধারণ চারটি গোল করে দলকে খেলায় ফেরান ইউসেবিও। পর্তুগালও শেষপর্যন্ত জয় পায় ৫-৩ গোলে।
জিওফ হার্স্ট- ইংল্যান্ড ৪-২ পশ্চিম জার্মানি (১৯৬৬ বিশ্বকাপ)
১৯৬৬ সালের আরেকটি নজরকাড়া ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ছিল জিওফ হার্স্টের। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন এই তারকা। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার সেই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি আর কোনো ফুটবলারই।