পলাশ দেবনাথ, নুরনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী ব্রীজ সংলগ্ন খাল পাড়ের রাস্তার পাশের সরকারী গাছ কেটে নিয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় দুরমুজখালী গ্রামের মৃত কাশেম আলী সরদারের ছেলে আবু বক্কার সরদার ও তার ছেলে মাহাফুজ সরদার রাস্তার পাশের সরকারী জায়গার একটি বড় শিশুফুল গাছ কেটে নিয়েছে। সরকারী গাছ কেটে নিয়ে গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ঢেকে রেখে আড়াল করার চেষ্টা করেছে তারা। বড় গাছের একটি গুড়ি খালের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং বাকি অংশ সরিয়ে ফেলেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এ বিষয় সরকারী গাছ কর্তন কারী মাহাফুজ সরদার এর সাথে কথা বললে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন উক্ত গাছ গুলো আমার লাগানো তাই আমি কেটে নিয়েছি। এ সময় তিনি আরও বলেন আমি আমার রেকড কৃত জমির গাছ কেটেছি। আপনারা সাংবাদিক আপনাদের কি?, ভুমি অফিসের নায়েব আছে সে দেখবে। অত্র এলাকায় এভাবেই একের পর এক খালে পাশের এবং রাস্তার পাশের সরকারী গাছ কাটার কারনে সাধারন মানুষের চলাচলের রাস্তায় ভাঙ্গন ধরেছে। এছাড়া গাছ কাটার কারনে কয়েকটি স্থানে রাস্তা মারাত্বক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। সরকারী গাছ কাটার বিষয় নুরনগর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক কেন নিবর থাকেন? নায়েব মোটা টাকার বানিজ্য করে বিষয়টা গুলো রফাদফা করছে কিনা? এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারন জনগন। এমতাবস্তায় এলাকার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নুরনগরের দুরমুজখালী রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কর্তন
পূর্ববর্তী পোস্ট