খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে গুরুতর ইনজুরির কারণে যেতে হয়েছিল অস্ত্রোপচারের টেবিলে। জটিল অপারেশন শেষে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলেন না। এর বাইরে বিতর্কিত ঘটনা ঘটিয়ে ট্রলিংয়ের শিকারও হচ্ছিলেন। যেহেতু ব্রাজিল একজনের ওপর নির্ভরশীল নয়; তাই পৌঁছে যায় শেষ ষোলোতে। আর এই পর্বে এসেই দেখা গেল নেইমারের আসল রূপ।
আজ সোমবার সামারা অ্যারেনায় শেষ ষোলোর ম্যাচে মেক্সিকোর মুখোমুখি হয়েছিল হেক্সা মিশনে থাক ব্রাজিল। হলুদ জার্সিধারীদের সঙ্গে খেলার মানে হলো নেইমারকে তিন-চারজন মিলে আটকে রাখতে হবে। তাকে আঘাত করতে হবে। যে কারণেই বল তুলতে গিয়ে নেইমারের অপারেশনের পায়ে আঘাত করে বসলেন এক মেক্সিকান। চতুর সেই আঘাতের তেজ ধরতে পারেনি অনেকেই।
তবুও আজ থামানো যায়নি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারকে। একের পর এক আক্রমণেও প্রথমার্ধে সাফল্য আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫৩তম মিনিটে ব্রাজিল শিবিরকে আনন্দ ভাসান নেইমার। ৮৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটাও তিনিই করতে পারতেন। কিন্তু তার শটটি মেক্সিকান গোলকিপারের পা ছুঁয়ে চলে আসে ফিরমিনোর কাছে। নিখুঁত শটে বল জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি এই তারকা।
ব্রাজিল কোচ তিতে বলে রেখেছিলেন, আজই স্বরূপে দেখা যাবে নেইমারকে। তাছাড়া এই ম্যাচে ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভাও বলেছিলেন, আজ হবে নেইমার-ঝলক। সেই ঝলকের মানে কী হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে বুঝল মেক্সিকো। সেই দুর্দান্ত গতি, অসাধারণ ড্রিবলিং; সবসময় গার্ড দিয়ে রাখা চারজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া- সবই ছিল আজকের ‘নেইমার প্যাকেজ’ এ। হেক্সা মিশনে এসে এই নেইমারকেই তো চায় ব্রাজিল।