দেশের খবর: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল, সংরক্ষণ বা সংস্কারের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সোমবার রাতে এসব তথ্য জানান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিতে যে ছয় সচিবকে সদস্য রাখা হয়েছে তাঁরা হলেন, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন ‘এটা (কোটা) সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। আমাদের পর্যায়ে এখনো স্থানান্তর হয়নি। তবে আপনারা যত সহজভাবে এটা বিশ্লেষণ করছেন, তত সহজ নয়। জটিলতা আছে। এটা অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে এবং আমরা সেই আলোকে কার্যক্রম নেব।’ কবে নাগাদ কোটাসংক্রান্ত পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে, সে বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সেটা অনুমান করা কঠিন। একটু সময় লাগবে মনে হচ্ছে।’
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন এ আন্দোলন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। সর্বশেষ তিন দিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।