খেলার খবর: রেকর্ডটি তাঁরই ছিল। সে রেকর্ড নতুন করে আরেকবার নিজের করে নিলেন, পাকাপোক্ত করা আরকি! টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ১৫৬ রানের। ইংল্যান্ডে বিপক্ষে সে ইনিংসের বর্ণনায় বেশ কয়েকবার বিস্ময়সূচক চিহ্ন বসাতে হয়েছিল। আজ সে চিহ্ন আরও গোটা কয়েক বাড়িয়ে নিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। ফিঞ্চের অবিশ্বাস্য ১৭২ রানের এক ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেটে ২২৯ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে ফিঞ্চের রেকর্ড যে হতে পারে, সেটা বোঝা গেছে অনেক পরে; বরং অন্য এক রেকর্ড নিয়েই তখন আগ্রহ ছিল। মুহূর্তটির অপেক্ষা ১০ ওভারের পর থেকেই। ইনিংসের অর্ধেক পেরোনোর আগেই শত রান হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার। টি-টোয়েন্টিতে এমন কিছু নিয়মিত না হলেও অভাবনীয় কিছু নয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের ঘরে তখনো কোনো সংখ্যা না থাকাটাই আগ্রহ জন্মাচ্ছিল। হবে কি রেকর্ড?
১৬তম ওভারেই হলো রেকর্ড। তৃতীয় বলে ৩ রান দূরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের ছক্কায় সে হিসাব চুকল। টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে গেল। পাকিস্তানের বিপক্ষে একবার ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন আর কাউকে ব্যাট করার সুযোগ না দিয়েই ১৭১ রান করে ফেলেছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেট জুটিতে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান। এক ঢিলে তাই দুই পাখি মারলেন ফিঞ্চ-শর্ট।
শর্টের নামটি লিখতে হচ্ছে জুটির এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে। না হলে এক প্রান্তে ফিঞ্চ যখন বোলারদের কচুকাটা করছেন, উল্টো দিকে তখন ডি’আর্চি শর্ট ওয়ানডে ক্রিকেটের তালিম নিচ্ছেন! একপর্যায়ে তো ২৯ বলে ২২ রান ছিল শর্টের! অনেকে তাই মজাও করছিলেন, শর্ট ৫০ করার আগেই দেড় শ করে ফেলবেন ফিঞ্চ। কথাটি এক অর্থে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ৪২তম বলে আউট হওয়ার আগে ৪৬ রান করে আউট হয়েছেন শর্ট। আর তাঁর সঙ্গীর রান তখন ১৬৮!
২০তম ওভারে গিয়ে আউট হয়েছেন শর্ট। উদ্বোধনী জুটিতে চোখ কচলান, মাথা চুলকানোর মতো ২২৩ রানের জুটি গড়ে। ফিঞ্চও ২ বল পরে সঙ্গী হয়েছেন হিট উইকেটের শিকার হয়ে। ৭৬ বলে ১৬ চার ও ১০ ছক্কায় রান ততক্ষণে আগের বিশ্ব রেকর্ড থেকে ১৬টা বেশিই করা হয়ে গেছে তাঁর। ৫০ বলে ১০০ করা ফিঞ্চ পরের ৭২ রান তুলেছেন ২৬ বলে।
শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট প্রাপ্তির সঙ্গে ব্লেসিং মুজারাবানি দলকে একটা স্বস্তিও এনে দিয়েছেন। বিশ্ব রেকর্ডের মিছিলে ২০ ওভার শেষেও প্রতিপক্ষের কোনো উইকেট না ফেলার রেকর্ড তো আর হয়নি!