আসাদুজ্জামান: নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসানসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এর মধ্যে আটক করা হয়েছে ১০ বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে।
আটককৃত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নাথুরডাঙ্গা গ্রামের মোঃ শামসুর রহমান গাজীর ছেলে মোঃ আনিছুর রহমান (৪২), একই উপজেলার রইচপুর গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম সরদারের ছেলে মোঃ কবির হোসেন (৪৪), কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আঃ অহেদের ছেলে মোঃ আঃ সামাদ (৫৭), আঃ সামাদের ছেলে মোঃ আতিকুল ইসলাম শিমুল (২৬), নেবাখালী মাঝেরপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ আকতারুজ্জামান(২৩), শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মোঃ ইয়াহিয়া সরদারের ছেলে মোঃ হামিদুল সরদার (৪০), বাঁশদাহ গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫০), ভালুকাচাদপুর গ্রামের মোকছেদ মিস্ত্রীর ছেলে মোঃ রেজাউল (৩০), কালেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত মফেজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ বাবর আলী (৪৭) ও একই গ্রামের মৃত জয়নুদ্দীন গাজীর ছেলে আকবর আলী (৩৬)।
এই মামলায় পলাতক আসামীরা হলেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান, যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহম্দে মানিক, জামায়াত নেতা এড. আজিজুল ইসলাম, মাও. আব্দুল গফ্ফার, মাও, জামশেদ আলীসহ ২০ জন।
পুলিশ জানায়, রাতে সদর উপজেলার বাবুলিয়া বলফিল্ড মাঠের উত্তর পাশে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১০ বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। বাকীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এর ১৫(৩)/২৫-ঘ ধারা ও ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৬ ধারায় রাতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৬৫। তারিখ-২০.০৭.১৮।
পূর্ববর্তী পোস্ট