বিদেশের খবর: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে জেলে রেখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি জরিপের ফলাফলে এমনটাই নাকি আভাস মিলেছে।
এদিকে সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফ ক্ষমতা থেকে সরে গেছেন মাত্র ১০ বছর। এরইমধ্যে দুই মেয়াদের সরকার ক্ষমতায় ছিল। একবার পিপিপি ক্ষমতায় আসলেও পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসে নওয়াজ নেতৃত্বাধীন মুসলীম লীগ। মুসলীম লীগ ৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নওয়াজ মেয়াদপূর্ণ করতে পারেননি। এর আগে পিপিপি ক্ষমতায় থাকাকালেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীও ৫ বছর মেয়াদপূর্ণ করতে পারেননি।
আগামিকাল বুধবারের নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের দলকে কোণঠাসা করে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী, এমন অভিযোগ দেশটির গণমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর। এরইমধ্যে ইমরান খানকে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে নেপথ্যে কাজ করছে সেনা গোয়েন্দারা, এমন অভিযোগ এনে নওয়াজ পন্থীরাও বলছেন, তারা আশা ছেড়ে দিচ্ছেন না।
নওয়াজ শরীফের দলের হাল ধরেছেন তারই ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ। নওয়াজ শরীফের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনাকে রাজনৈতিক বিচার বলেও মন্তব্য করেন শাহবাজ। তবে নির্বাচনী মাঠ নওয়াজ শরীফের মতো গরম করতে পারছেন না শাহবাজ। এদিকে নওয়াজ কন্যা মরিয়মও রয়েছেন জেলে। মাঠে আছেন কেবল শাহবাজ শরীফ ও মরিয়মপুত্র।
ওদিকে পাকিস্তানিদের মনে সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করেছে যে, নির্বাচনী ম্যাকানিজমের মাধ্যম ইমরানকে জয়ী করানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের ফলে দেশটিতে কোনো ধরণের সহিংসতা শুরু হলে, ক্ষমতা আবারও ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যেতে পারে সেনাবাহিনী। সব সন্দেহ-দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান হবে এই সপ্তাহেই এমনটাই মনে করা হচ্ছে।