শ্যামনগর ব্যুারো: শ্যামনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের নববধু দিপালী হালদার (১৯)। ২৯শে নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরের পর শ্বশুর বাড়িতে গলায় বেডসীড দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। মৃত দিপালী হালদার এর বাবার বাড়ি সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়নে। পিতা জয়দেব বাছাড় মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে। এসে দেখেন তার আদরের মেয়ে শুয়ে আছে চির নিদ্রায়। দিপালীর পিতা জয়দেব বাছাড় বলেন- আমার মেয়েকে ৭ মাস আগে বিয়ে দিয়েছি। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি শ্বশুর বাড়ি থেকে মেরে ফেলেছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন জামাইয়ের বড় ভাই গোবিন্দ হালদারের স্ত্রী সাথে চিত্তরঞ্জন এর অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এটা আমার মেয়ে জেনে ফেলে। এবং এটা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝামেলা হতো। তাই আমার মেয়েকে এরা মেরে ফেলেছে। চিত্তরঞ্জন এর বৌদির সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে এর আগে দুই, দুই স্ত্রী চিত্তরঞ্জনকে ছেড়ে চলে গেছে। আরো জানা যায় যে, দিপালীরও আগে একটা বিয়ে ছিলো। জয়দেব বাছাড়কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে আপনি জেনে শুনে মেয়ে বিয়ে দিলেন কেন? তখন তিনি বলেন জানলে কি আর বিয়ে দিতাম, পরে জেনেছি। দিপালীকে মেরে গলায় বেডছিড দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে এই মর্মে শ্যামনগর থানায় নারী শিশু নির্যাতন সহ হত্যা মামলা হয়েছে মামলা নং ২৬। এ ঘটনার পর থেকে চিত্তরঞ্জন ও তার ভাই, ভাই বৌ পলাতক আছে। শ্যামনগর থানার এস,আই মইনুল আহসান কবির সন্ধ্যার পরে লাশ থানায় নিয়ে আসেন। এস,আই মইনুল আহসান কবিরের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন লাশের গায়ে ও কপালে দাগ পাওয়া গেছে। কিন্তু ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছু জানা যাচ্ছেনা। লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে মনে হয় মৃত্যুটা রহস্য জনক। এ মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট