আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কলকাতা শহরে বিরিয়ানিকে ব্যান্টার করার জন্য ‘কুত্তা বিরিয়ানি’ বা ‘কাউয়া বিরিয়ানির’ গপ্পো ছড়ানো একাট নিয়মিত ব্যাপার। কিন্তু গপ্পের সব সীমাকে ছাড়িয়ে বিরিয়ানির ইতিহাসে নতুন নজির গড়েছে চেন্নাই। সেখানে ‘বিল্লি বিরিয়ানি’ নিয়ে এই মুহূর্তে ঘোর সোরগোল।
চেন্নাই শহরের কোনও কোনও এলাকায়, বিশেষ করে পল্লভরম অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি। এই খবর পেয়ে ‘পিপল ফর অ্যানিম্যালস’ নামের একটি পশুপ্রেমী সংগঠন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ওই এলাকা থেকে ১৬টি বিড়ালকে উদ্ধার করেছে সম্প্রতি।
বিড়ালগুলিকে খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছিল এবং তাদের কোনও রকমের খাবার, এমনকী পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় যে তারা বেশ কিছুদিন ধরেই বাস করেছে, তার প্রমাণ হিসেবে বিরাজ করছিল তাদের গায়ের পোকা, তাদের অসুস্থতা। বন্দি বিড়ালগুলিকে যখন উদ্ধার করা হয়, তারা (এরপর ২ এর পাতায় ১ এর কলাম) তখন হিংস্র হয়ে উঠেছে।
তামিলনাডুর এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নারিকুরাভর সম্প্রদায়ের মানুষই এই বিড়াল-বিরিয়ানির হোতা। জানা গিয়েছে, তারা পরম্পরাগতভাবেই বিড়াল-ভক্ষক। বিরিয়ানিতে বিড়ালের মাংস তাদের কাছে কোনও বিশেষ ব্যাপারই নয়। ওদিকে, পল্লভরম অঞ্চলের বাজারে খাঁচাবন্দি বিড়ালগুলিকে সরাসরি ফুটন্ত জলে ফেলে হত্যা করা হয়। তার পরে ১০০টাকা প্রতি কেজি দরে চলে মাংসের কেনা-বেচা।
নারিকরাভর সম্প্রদায়ের বক্তব্য, তারা এতটাই দরিদ্র যে মুরগি কেনার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই বিড়ালের মাংস খেতে তারা বাধ্য হয়। এই যুক্তি অবশ্যই মানতে রাজি নয় পশু-অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি। তারা রীতিমতো সরব বিষয়টি নিয়ে।
পূর্ববর্তী পোস্ট