খেলার খবর: ওয়ানডের মতো জয় উদযাপন করে শুরু হলো না বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বুধবার সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ ওভারের প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছে ৭ উইকেটে। ৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে তারা করে ৯৩ রান।প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল। তাতে ছোট হয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১ ওভারে ৯১ রান। দ্বিতীয় ওভারে তাদের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু মারলন স্যামুয়েলসের ঝড় সেই ধাক্কা সামলে নেন। অবশেষে রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারে আউট হলেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও শেষ বলে এভিন লুইস (২) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (৭) ফেরান। লুইসের ক্যাচ ধরেন লিটন দাস। পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফ্লেচার। তারপর আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে ৪২ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন স্যামুয়েলস। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে তিনি মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন। তার আগে ১৩ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ২৬ রান করেন স্যামুয়েলস। তিনি ফিরলেও রাসেল ঝড় চলতে থাকে। ২১ বলে তার তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৫ রানে জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা। অন্য প্রান্তে ১৫ রানে খেলছিলেন রভম্যান পাওয়েল।
সেন্ট কিটসে প্রথম ম্যাচে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ প্রতিরোধ গড়লেও পুঁজিটা বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্টে একপেশে সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানো জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে ৯ বছর পর সিরিজ জয়ের আনন্দ নিয়ে তারা সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল। বুধবার প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় ক্যারিবিয়ানরা। আর প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারকে বিদায় করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের প্রথম বলে অ্যাশলে নার্সকে উইকেট ছেড়ে সামনে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে দিনেশ রামদিনের কাছে স্টাম্পিং হন তামিম। ওয়ানডে সিরিজের শীর্ষ ব্যাটসম্যান রানের খাতা না খুলে নেন বিদায়। চতুর্থ বলে সৌম্য সরকার হন বোল্ড। প্রথম বল খেলেই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। মাত্র ৪ বলে ২ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ ওভারে আবার জোড়া আঘাতের ধাক্কা।
কিমো পল প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে ফেরান লিটন দাস ও (২১) ও সাকিব আল হাসানকে (১৯)। লিটনকে ক্যাচ নিয়ে ফেরান আন্দ্রে ফ্লেচার, আর সাকিব ধরা পড়েন কেসরিক উইলিয়ামসের হাতে। ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর ক্ষত বাংলাদেশ কিছুটা সামলে ওঠে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে। জুটিটা ঝড় তুললেও ৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ৯.৩ ওভারে কেসরিকের বলে রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ হন মুশফিক। ১৫ রান করেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মাত্র ২৬ রানের জুটি গড়ে আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হন আরিফুল হক। ১৫ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৫ রান করে কেসরিকের স্লো বলে বোল্ড হন তিনি।
এক ওভার বিরতি দিয়ে কেসরিক তুলে নেন আরও দুই উইকেট। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে লং অনে নার্সের ক্যাচ বানান তিনি মিরাজকে (১১)। দুই বল পর নাজমুল ইসলাম ৭ রানে পেছনে রামদিনের গ্লোভসে ধরা পড়েন।
কেসরিক ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার।
সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ হবে ৫ ও ৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।