দেশের খবর: রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় পিকআপের নিচে পড়ে যাওয়া সেই ছেলেটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ছেলেটির নাম ফয়সাল। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাইনবোর্ড এলাকায় প্রোঅ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে। হাসপাতালের ম্যানেজার ডাক্তার সালাউদ্দিন ভুইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফয়সালের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তার বাবা শামসুল হক।
ডাক্তার সালাউদ্দিন ভুইয়া জানান, ‘ফয়সালের বাম পা, হিপ জয়েন্ট ও ঠোঁটে আঘাত লেগেছে। তাকে ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার এ টি এম বাহার উদ্দিন ও এহতাশামুল হকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে সে।’ প্রাথমিকভাবে আর কোনও তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।
ফয়সালের বাবা শামসুল হক বলেন, ‘ফয়সাল সরকারি তোলারাম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। সকালে কলেজে যাওয়ার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানতে পারি সে পিকআপের নিচে পড়েছে। আমি মতিঝিলে ছিলাম। আমাকে ফোন করে বলে ফয়সালকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে জানানো হয় তাকে সাইনবোর্ড এলাকার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আম পরে এখানে আসি। এখন আল্লাহর রহমতে ফয়সাল আশঙ্কামুক্ত।’ ফয়সাল তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় বসবাস করে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর অন্যান্য জায়গার মতো শনির আখড়ায়ও আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন বাস আটকে চালকদের লাইসেন্স দেখছিল। যেসব চালকের লাইসেন্স নেই তাদের গাড়ি সাইড করে রাখতে বলছিল। এ সময় রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথ দিয়ে একটি পিকআপ দ্রুতগতিতে চলে আসে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। পিকআপ চালক গাড়ি না থামিয়ে গতি আরও বাড়িয়ে দেয় এবং এক শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, ‘যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথে একটি পিকআপ দ্রুতগতিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে পিকআপটি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পিকআপের নম্বরটি সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
সেই ফয়সাল এখন হাসপাতালে
পূর্ববর্তী পোস্ট