আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধ ও লবণাক্ত জমিতে বারি উদ্ভাবিত পানি ও মুখি কচু চাষের উপর কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের অর্থায়নে ও সাতক্ষীরা কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের আয়োজনে সোমবার সকালে শহরের অদূরে বিনেরপোতাস্থ কৃষি গবেষনা কেন্দ্রে উক্ত কৃষক সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। বিনেরপোতা কৃষি গবেষনা কেন্দ্র বারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি গবেষনা কেন্দ্র বারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অলি আহমেদ ফকির। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিনেরপোতা কৃষি গবেষনা কেন্দ্র বারির সাইন্টিফিক এ্যাসিসট্যান্ট অফিসার মশিউর রহমান, মতিয়ার রহমানসহ ৮০ জন প্রান্তিক চাষী।
কৃষক সমাবেশ থেকে গবেষষকরা জানান, যে সমস্ত জলাবদ্ধ জমিতে সর্বেচ্চ ২ ফুট পর্যন্ত পানি এবং ৬ থেকে ১০ ডিএস লবনাক্ততা রয়েছে সে সব জমিতে বারি উদ্ভাবিত পানি কচু ও মুখি কচুর চাষ করা সম্ভব হবে। তারা আরো জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে পানি কচু চাষ করলে তা থেকে লতি উৎপাদন হবে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন এবং কান্ড উৎপাদন হবে ১৫ থেকে ২০ মেট্রিক টন। অপরদিকে, প্রতি হেক্টর জমিতে মুখি কচূ উৎপদন হবে ৩০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। সম্প্রতি বারি উদ্ভাবিত কৃষি গবেষনা ইনসষ্টিটিউট এটি আবিষ্কার করে সফল হয়েছেন।
পরে, কৃষক সমাবেশ শেষে উপস্থিত প্রান্তিক চাষীদের মাঠে নিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন সেখানে উপস্থিত কৃষি গবেষকরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট