স্বাস্থ্য কণিকা: ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তবে ভাত বাসি হলেই খাওয়ার ইচ্ছে হারান বেশিরভাগ মানুষ ৷ রাতের বাসি ভাতের বেশিরভাগ সময়ই ঠাঁই হয় ডাস্টবিন বা রাস্তার কুকুর বিড়ালের পাতে৷ কিন্তু বাসি ভাতের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা বহু শারীরিক সমস্যা মেটাতে সক্ষম।
ব্রেকফার্স্টের টেবিলে আপন করে নিন বাসি ভাতকে ৷ কারণ পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ভাতের মতো বাসি ভাতেও রয়েছে অনেক খাদ্য গুণ।
তাদের মতে বাসি ভাত খেলে অনেকসময় মিটে যায় আলসারের সমস্যা। সপ্তাহে তিন দিন বাসি ভাত খেলেই মুক্তি পেতে পারেন আলসারের মতো পেটের সমস্যা থেকে। আসলে বাসি ভাতে থাকা খাদ্যগুণ পেটের ঘা ও জ্বালা কমিয়ে দেয়।
সকালবেলা ব্রেকফার্স্টে বাসি ভাত খেলে দূর হয়ে যাবে গ্যাসের সমস্যা ৷ ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, আমরা সারাদিন যাই খাই না কেন, সকালের প্রথম খাবারটি সবসময় ভারি হওয়া উচিত। পাউরুটি বা কর্নফ্লেক্সের থেকে ভাত পুষ্টিগুণে অনেকটাই এগিয়ে, তাই ব্রেকফার্স্টে ভাত খেলে বহুক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের অব্যর্থ ওষুধ বাসি ভাত। ভাত যেমন হজম করা সহজ, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে ভাত। এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূরে রাখে।
এছাড়া সকালের খাবারের তালিকায় বাসি ভাত আসলে শরীরে যোগান দেয় পর্যাপ্ত পরিমাণ এনার্জি ৷ ভাতে থাকা প্রোটিন, সোডিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট শরীরে পুষ্টিগুণ যোগায়।
আগেকার দিনে বহু বাড়িতেই সকালের টিফিনে আগের দিনের বাসি ভাত খাওয়ার প্রচলন ছিল। এমনকি নিম্নমধ্যবিত্ত বহু পরিবারে সকালে বাসি ভাত খাওয়ার প্রথা এখনও রয়েছে। যদিও পুষ্টিগুণের থেকেও বহুক্ষণ পেট ভর্তি থাকার কারণেই এই সব পরিবারের কাছে বাসি ভাত সকালের মেনুতে সবচেয়ে পছন্দের।
শারীরিক সমস্যা মেটাতে সক্ষম বাসি ভাত
পূর্ববর্তী পোস্ট