অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়া-চীন হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’। চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক এই উড়োজাহাজটি রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে। বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটিকে স্বাগত জানানো হয় ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দিয়ে।
জানা গেছে, উড়োজাহাজটি প্রশান্ত মহাসাগর পার হয়ে রাশিয়ার আকাশে ঢোকে। রাশিয়ার দীর্ঘ আকাশপথ পেরিয়ে এটি প্রবেশ করে চীনের আকাশ হয়ে। মিয়ানমারে প্রবেশে করে বাংলাদেশে এসে পৌছায়।
এর আগে গত জুলাই মাসে আকাশবীণা ইংল্যান্ডের ফার্নবোরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশো অংশ নেয়। এয়ারশোতে ড্রিমলাইনারের বর্নাঢ্য অ্যাক্রোবেটিক শো উপস্থিত হাজারো দর্শনার্থীকে মুগ্ধ করে। দেশের আসার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, উড়োজাহাজের রেজিষ্ট্রেশনসহ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগবে। এসব প্রক্রিয়া শেষে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুট দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করবে।
জ্বালানি সাশ্রয়ী এই উড়োজাহাজ চালনার জন্য রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ১৪ জন বৈমানিককে চুড়ান্ত করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া সবাই জাতীয় এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে দক্ষ ও জৈষ্ঠ্য বৈমানিক। এছাড়া সহ-বৈমানিক হিসেবে প্রশিক্ষণের তৈরি হচ্ছে আরো ১০ জন ফার্স্ট অফিসার।
উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি। এই উড়োজাহাজের মাধ্যমে বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বিমানের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে, সেই সাথে যাত্রীদের দিতে পারবে আধুনিক প্রযুক্তির সব ধরনের সেবা।
২০০৮ সালে বিমান চারটি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িং এর সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী এরই মধ্যে তারা বোয়িং ৭৭৭ ৩০০ ইআর এর চারটি এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর দুটি সহ মোট ৬টি উড়োজাহাজ বিমানকে সরবরাহ করেছে। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বরে।
রাশিয়া-চীন হয়ে দেশে পৌঁছেছে ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’
পূর্ববর্তী পোস্ট