নিজস্ব প্রতিবেদক :
খাদ্যে বিষক্রিয়া মিশিয়ে আলিপুরে একই পরিবারের ০৫ জনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আলীপুর শিবপুর গ্রামের ঈমান আলী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমরা রাতের খাওয়া দাওয়ার পরপরই আমি, আমার স্ত্রী তহমিনা, মেয়ে তমা, ছেলে হাবিবুল্লাহ ও ওলিউল্লাহ’র বর্মি, জ্বর, ও পেট খারাপ হতে থাকে।
প্রথমে স্থানীয় ডাক্তার ও পরে অবনতি হওয়ায় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্ততে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতলের পরিক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ায় উন্নতি হয়। ঘটনার বিবারনে পরিবার, এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধির বরাতদিয়ে জানা যায়- শুক্রবার দুপুরে সকলেই গোশত সহ অন্য খাবার খায় কিন্তু ঐ সময়ে সমস্যা হয়নি পরবর্তীতে রাত্রে গোশত খাওয়ার সাথে সাথেই প্রথমে আমার, তমা ও স্ত্রী-তহমিনা পরে ওলিউল্লাহ ও পরবর্তীতে সকালে হাবিবুল্লাহ খাওয়ার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে। যা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক খায়রুল বাসারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে। ওই খাবারে ই-কোলি নামক এধরনের বিষক্রিয়া মেশানো হয়েছে।
তিনি আরো জানাযায় জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার দিন ধর্য্যরে পর সর্বশেষ ঐ দিন শনিবার ভাইপো সাইদুজ্জামনের নিকট হতে সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধির উপস্থিতে জরিপের সিদ্ধান্ত ছিল। আরো অভিযোগ পাওয়া যায় সাইদুজ্জামনের অর্থাৎ (তার পাটিশান বাটওয়ারা মামলা অনুযায়ী প্রাপ্য সম্পত্তি দাগে দাগে অথবা আপোসে বসবাসকৃত স্থানে বজয় করে নিবে) তা না মেনে নিয়ে দ্বিগুনের বেশী সম্পত্তি অবৈধ দখল রাখার জন্য মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তদন্তে তার দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় খারিজ হয়ে যায়।
তবুও সে সম্পত্তি সংক্রান্ত কোন বিচার মেনে না নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে সদর থানা সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত বিষয়ে: আইন অমান্যকারী চোরাকারবারী ভাইপো সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করে চাচা ইমান আলী। সাইদুজ্জামান ও তার পরিবার বিভিন্ন সময়ে বলে যে, ইমান ও তার সন্তনেরা যত দিন বেঁচে থাকবে ততদিন এই ঝামেলা পোহাতে হবে এবং প্রতিনিয়ত সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, সম্পত্তি ছাড়বেনা বলে জানায় ইতি পূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় দুটি জিডি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এবং ০৬জুলাই১৮ইং তারিখে তদন্তের সময়ে সকলের উপস্থিতে জানায় নিজেদের ক্ষতি নিজে করে পরিবারকে দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিবে।
এছাড়া গত ০৯জুলাই১৮ইং তারিখে উপজেলা-পরিষদের শালিসে বসে সকলের উপস্থিতে বিলান জমিও জোরপূর্বক দখল করিয়া নিবে বলে হুমকি প্রদান করে। সম্পত্তি দখল না দেওয়ার জন্য সকল প্রকার পরিকল্পনা করছে। জরিপের দিন ধার্য্য ছিল গত ০৪আগস্ট২০১৮ইং রোজ শনিবার কিন্তু সে হাজির থাকতে পারবে না বলে জানায় জন-প্রতিনিধিকে ঐ দিন সন্ধ্যায় স্থান: বাড়ির মোড় হতে হাটখোলার চলার পথে তার মোবাইলের মাধ্যমে অপর প্রান্তে ব্যাক্তির সাথে আলাপ করে আমাকে/আমার পরিবারের কাউকে হয়রানী/ বড় কোন চক্রন্তের জন্য এবং পরবর্তী দিন ধার্য্য ঘটনার তারিখে ১১আগস্ট১৮ শনিবার যে দিন পরিবারের উপস্থিত ০৫ জনই গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইতোপূর্বে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের সকল জনপ্রতিনিধি সহ চারটি ধাপে ৪৫২ জন গণ্যমান্য ব্যাক্তি গণস্বাক্ষর করেছে এবং তার বিরুদ্ধে ০৯ বার পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে।
ওই সাইদুজ্জামানই তার লোকজন দিয়ে ঈমান আলীর পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য গোপনে খাদ্যে বিষক্রিয়া মিশিয়েছে বলে দাবি করেন চাচা ঈমান আলী।
সাইদুজ্জামান ও তার কুচক্রী লোকজন দ্বারা ভুক্তভোগী ইমান আলী সহ তার পরিবারের জীবন নাশের আশাংকাবোধ করছে। এ ঘটনায় চাচা ইমান আলী ও এলাকাবাসী সহ ঐ চোরাকারবারী ভাইপোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।