রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবার এডিনবার্গ কর্তৃপক্ষের দেওয়া খেতাব হারাতে যাচ্ছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, রাখাইনে খুন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নভেম্বর মাসে সু চিকে এক চিঠিতে আহ্বান জানায় এডিনবার্গ কর্তৃপক্ষ।
সু চির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার পর শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবদানের জন্যে ২০০৫ সালে তাঁকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব সিটি’ খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অক্সফোর্ড, গ্লাসগোম নিউক্যাসেলের পর এডিনবার্গ কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সু চির ক্ষেত্রে তা হবে সপ্তম সম্মাননা হারানোর ঘটনা।
গত বছরের আগস্ট থেকে রাখাইনে দমন-পীড়ন, খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাত লাখ রোহিঙ্গা।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমার চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন।
এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এক বক্তৃতায় অতীতের ধারাবাহিকতায় আবারও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দায় বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়েছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি।
বক্তৃতায় মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তাদের ফেরার ব্যাপারে সময়ের কাঠামো নির্ধারণ করা মিয়ানমারের জন্যে কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।