দেশের খবর: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি জড়িত। হত্যাকারী যেই হোক, যত প্রভাবশালী হোক, ক্ষমা পাবে না। নিরপেক্ষভাবে বিচার হবে। বিচারে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
শনিবার (২৫ আগস্ট) পতেঙ্গা এলাকায় টানেল নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট যে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের রায় হতে যাচ্ছে। এতে বিএনপির অনেক নেতার জড়িতও হওয়ার আশঙ্কা আছে। তারা যদি দণ্ডিত হয় তবে বিএনপি কিছুটা সঙ্কটে পড়বে।
কাদের বলেন, ২১ আগস্টের কিলিংয়ে প্রধানমন্ত্রী টার্গেট ছিলেন। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। সারাদেশ জানে, হাওয়া ভবনের পরিকল্পনার কথা। এগুলো এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। বিএনপি তো দায় এড়াতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা যা ঘটেছে সেই আলোকেই রায় হবে। এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটা বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের শুরুটা বাইরের ইন্ধনে হয়েছে বলে মনে করি না। তবে পরে বাইরের ইন্ধন এবং উসকানি যুক্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর যেটা হয়েছে তা একেবারে যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু শেষ সময়ে ইন্ধন যুক্ত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা আন্দোলনে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছিল। এটাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চক্রান্ত হয়েছে। আন্দোলনটা ক্ষমতা দখলের জন্য ছিল না। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে নিরাপদ রাস্তা খুঁজছিলে। তারা নিজেদের আন্দোলনে ব্যর্থতার পর শিক্ষার্থীদের উপর ভর করেছিল।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার বাবুল উপস্থিত ছিলেন।