স্বাস্থ্য কণিকা: গরমে আমাদের শরীরে পানিস্বল্পতার সৃষ্টি হতে পারে। পানিস্বল্পতা থেকে শরীর হয় ক্লান্ত, অবসাদগ্রস্ত। মানুষের শরীরে পানিস্বল্পতার কারণে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় শরীর পানিস্বল্পতা তথা ডিহাইড্রেশন মুক্ত রাখতে পান করতে হবে প্রচুর পানি ও খেতে হবে তাজা ফল।
গরমে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বেরিয়ে এসে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করে। এ কারণে গরম কালে আমাদের ঘাম বেশি হয়। ফলে গরম কালে শরীরে পানির প্রয়োজন হয় প্রচুর। শরীরে পানিস্বল্পতা হলে বমি, মাথা যন্ত্রণা, জ্বর সহ নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে এদের একত্রে ডিহাইড্রেশন বলে।
ডিহাইড্রেশন এড়াতে এ সময় আমাদের প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি নানান ফলের জুস পান করতে হবে। পানি বা জুস পানের ক্ষেত্রে অবশ্যই কৃত্রিম চিনিজাতীয় উপাদানে তৈরি পানীয় পরিহার করতে হবে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, “গরমে পানিস্বল্পতা এড়াতে তরমুজের বিকল্প নেই, তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা তৃষ্ণা কমায় ও ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে।“
তরমুজ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। তরমুজে রয়েছে ৯৭ ভাগ জলীয় অংশ ফলে গরমে তরমুজ খাওয়া ভালো, কারণ ক্রমাগত ঘাম হওয়ার দরুন যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এটা তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে তরমুজ। এ ছাড়া কাঁঠাল, কালো জাম, আমে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। যা তাজা খেলে গ্রীষ্মকালে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচা যাবে।
পানিসল্পতা এড়াতে আস্ত ও পাকা ফল খেতে হবে। ফল রান্না করা হলে ফলের কার্বোহাইড্রেট ও নিউট্রিয়েন্ট সল্ট নষ্ট হয়ে যায়। ফলের সালাদ বানিয়ে ও খেতে পারেন। আপেল, পেয়ারা, শসার মতো ফল খেলে খোসা না ফেলে খান। কারণ এসব ফলের খোসাতে ফাইবার থাকে। ফাইবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও শর্করা থাকে।