অনলাইন ডেস্ক: শ্মশানে নিতেই নড়ে উঠল এক নারীর লাশ! ভারতে ওই নারীর মৃতদেহ শ্মশানের এক জায়গায় রেখে শবযাত্রীরা সৎকারের ব্যবস্থা করছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সিরিয়াল পাওয়ার জন্য শ্মশানে ঘুরছিলেন। হঠাৎ শবযাত্রীদের মধ্যে এক জনের চোখ যায় খাটের উপরে শোয়ানো নারীর দিকে। সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি, ‘হাত নড়ছে রে…!’
গত বৃহস্পতিবারের এমন ঘটনায় কলকাতার নিমতাল শ্মশানে সকলে মিলে হই হই করে ওঠেন। রিঙ্কু ঘোষ নামের ৩৩ বছর বয়সী ওই নারীর পরিবারের লোকজনেরা বলতে থাকেন, ‘উনি মরেননি, বেঁচে আছেন!’ নারীর দেহ ঘিরে সবাই ঝুঁকে দেখতে শুরু করে দেন। ভিড়ের মধ্যে থেকেই কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘উনাকে হাওয়া (পাখা দিয়ে বাতাস করা) দিন, হাওয়া দিন।’
এক আত্মীয় আবার নারীর মাথায় বাতাস করতে শুরু করেন। সরিয়ে দেওয়া হয় ভিড়। কেউ কেউ আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন। পুরো পরিস্থিতিকে ঘিরে শ্মশানে হুলুস্থূল পড়ে যায়। আর দেরি না করে নারীর দেহ তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেন আত্মীয়রা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, নারী অনেকক্ষণ মারা গেছেন। হাত-পা নড়ে ওঠার কোনো প্রশ্নই ওঠে না! মৃতের আত্মীয় যা দেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে দৃষ্টিভ্রম কিংবা উদ্দেশ্যমূলক ব্যাপার।
কলকাতার গণমাধ্যম জানিয়েছে, বাগুইআটির বাসিন্দা রিঙ্কু ঘোষ বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রিঙ্কু। হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ম-কানুন সেরে নারীর দেহ নিয়ে ওই দিন রাতেই সৎকারের জন্য নিমতলা শ্মশানে নেওয়া হয়। রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে!
রিঙ্কু ঘোষের মৃতদেহ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার আত্মীয়দের কথা শুনে চিকিৎসকেরাও তাজ্জব হয়ে যান। ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা হয় দেহ। কিন্তু না, প্রাণের কোনো চিহ্নই মেলেনি। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, নারী দীর্ঘক্ষণ আগেই মারা গেছেন। শেষ পর্যন্ত আবারও রিঙ্কুর দেহ নিয়ে নিমতলা শ্মশানে যান তার আত্মীয়রা।
শ্মশানে নিতেই নড়ে উঠল লাশ
পূর্ববর্তী পোস্ট