স্পোর্টস ডেস্ক:সব সময়ই তারকাদের ভীড়ে পার্শ্ব নায়ক হয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ যেন এবার নিজের কাধেই তুলে নিয়েছিলেন দলকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব। প্রায় একক প্রচেষ্টায় দলকে তুলেছন কোয়ালিফায়ারে। তবে দল ফাইনালে জেতে ব্যর্থ হলেও খুলনার অধিনায়ক পেয়েছেন তার নৈপুণ্যের পুরস্কার। ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৯৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছে ১০ উইকেট। হয়েছেন চতুর্থ বিপিএলে সেরা খেলোয়াড়।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই শেষ ওভারের বোলিং কারিশমায় দলকে এনে দিয়েছেন জয়। ৬ বলে মাত্র ৭ রান দরকার ছিলো রাজশাহীর। স্পেশালিষ্ট বোলার ছিল দলে কিন্তু মাহমুদউল্লাহ তাদের ওপর ভরসা করার চেয়ে কঠিন দায়িত্বটা নিজেই নিলেন। শেষ ওভারে বল করতে এসে নিলেন ৩ উইকেট। অবিশ্বাস্যভাবে ৩ রানে ম্যাচ জিতলো খুলনা। দলের তৃতীয় ম্যাচেই একই ভুমিকায় অবতীর্ণ হন এই দলপতি। সে ম্যাচে হাতে চার উইকেট নিয়ে ৬ বলে মাত্র ৬ রান দরকার ছিলো চিটাগং কিংসের। আবারো বল হাতে নিলেন মাহমুদউল্লাহ এবং আবারো বাজিমাত। এবার ছয় বলে মাত্র এক রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। আবারো ৩ রানের জয়।
রোববারের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ঢাকা ডায়নামাইটসের বিরুদ্ধে আরো একবার নিজেই নায়কের ভুমিকায়। এই ম্যাচ ছিলো দলের ‘বাঁচা-মরার’ লড়াই। সে লড়াইয়ে নিজেই উৎরে নিলেন দলকে। মাত্র ২৮ বলে তুলে নিয়েছে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার অবস্থান দুইয়ে। একমাত্র তামিম ইকবালের পিছনে থাকা মাহমুদউল্লাহর রান ১৪ ম্যাচে ৩৯৬। দুটি হাফ সেঞ্চুরির সাথে চল্লিশোর্ধ ইনিংস তিনটি। ব্যাটে-বলে টুনামেন্টের সবচেয়ে সফল পারফরমার তিনিই।
নামী দামি তারকার ভিড় না থাকায় শুরুতে অনেকেই খুলনাকে এবারের আসরের ফেবারিটের তালিকায় রাখেননি। মাহমুদউল্লাহ প্রমাণ করেছেন অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে তারকার চেয়ে পারফরমার আর যোগ্য নেতৃত্ব বেশি কার্যকর। কয়েকটি ম্যাচেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মূহুর্তে চমৎকার কৌশলি সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘুড়িয়ে দিয়েছেন ম্যাচের মোড়। যা তার নেতৃত্বের গুণকে ফুটিয়ে তোলে। অবশ্য মাহমুদুল্লার অধিনায়কত্ব গত বিপিএলেও দেখেছে বাংলাদেশ। সেবার বরিশাল বুলসের গড়পড়তা মানের একটি দল নিয়ে পৌছে গেছেন ফাইনালে।