খেলার খবর: টানা দুই জয়ে জেগেছিল দারুণ সম্ভাবনা। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের হাস্যকর ভুলে তা শেষ হয়ে গেল! নিজেদের মাঠে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্ব থেকেই দর্শক হয়ে গেল বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। ৬ করে পয়েন্ট তিন দলের। গোল ব্যবধানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপাল উঠল শেষ চারে, সঙ্গী পাকিস্তান।
২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সেরা চারে ওঠার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেলো জেমি ডের দলের। ২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে প্রথম শিরোপা জয়ের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি তো দূরের কথা, এ নিয়ে সাফের টানা চার আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার হতাশা হলো সঙ্গী।
ড্র করলেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের। শুরুটাও ছিল ভালো। বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল মামুনুল-জামালদের পায়ে। ছিল না ভুল পাসের ছড়াছড়ি। সমর্থকরাও ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ স্লোগানে মাতিয়ে রাখে গ্যালারি; উৎসাহ জোগায় দলকে।
বাংলাদেশের মতো নেপালও রক্ষণ জমাট রেখে খেলছিল। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চললেও কেউ ভাঙতে পারছিল না কারো রক্ষণ দেয়াল। ফলে উভয় গোলরক্ষককে পড়তে হচ্ছিল না কঠিন কোনো পরীক্ষায়। ২৭তম মিনিটে বাংলাদেশের ওয়ালী ফয়সালের ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
ছয় মিনিট পর শহীদুলের সেই হাস্যকর ভুল। ডান দিক থেকে বিমল ঘারতি মাগারের নেওয়া ফ্রি কিক ৩৫ গজ পেরিয়ে সোজা গোলরক্ষকের দিকেই আসে, সহজে যে বল গ্লাভসবন্দি করার কথা, সেটা তার হাত গলে ঠিকানা খুঁজে নিল! সহজ পরীক্ষায় ‘ফেল’ করে বসলেন শহীদুল; ম্যাচ শেষে ওই ভুলের মাশুল গুণল দল।
৫১তম মিনিটে বিপলু আহমেদকে তুলে নিয়ে সোহেল রানা ও সাদউদ্দিনকে তুলে নিয়ে শাখাওয়াত হোসেন রনিকে নামান কোচ জেমি। তিন মিনিট পর ভারত খাওয়াসের শট ফিস্ট করে ফেরান শহীদুল।
৫৯তম মিনিটে মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনিকে তুলে নিয়ে ইমন বাবুকে নামান স্বাগতিক কোচ। ৭০তম মিনিটে ডান দিক থেকে সোহেলের বাড়ানো ক্রসে রনির হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
শেষ দিকে সমতাসূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু নেপালের রক্ষণ ভেঙে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি দল। উল্টো যোগ করা সময়ে সুনীল শ্রেষ্ঠার বাড়ানো বলে প্লেসিং শটে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নবযুগ শ্রেষ্ঠা।
সাফে এ নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় জয় পেল নেপাল। ৭ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশের জয় ৪টি। ফিফার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২২ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে নেপাল পেল সপ্তম জয়ের দেখা।